হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন

হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগনসাম্প্রতিক সময়ের সবচে’ সাড়া জাগানো অ্যানিমেশন মুভির নাম হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন। ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশন কতৃক নির্মিত এই মুভিটিরও একটি ত্রিমাত্রিক ভার্সন মুক্তি দেয়া হয়েছে। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে টপচার্টে অবস্থান করা এই মুভিটির পরিচালক ডিন ডিব্লয় এবং ক্রিস স্যান্ডার্স। দুজনে এর আগেও একসাথে অ্যানিমেশন মুভি পরিচালনা করেছেন।

হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন মুভিটি বর্তমান সময়ের নয়। অনেকটা রূপকথার কোন সময়ের কাহিনী এটি যার মূল চরিত্র হিকাপ। সে বার্ক দ্বীপের ভাইকিং দের রাজার ছেলে। ভাইকিংদের নিয়ম অনুযায়ী তাকে একটি ড্রাগন হত্যা করতে হবে। তাদের গ্রামের পাশেই বসবাস ড্রাগনদের, যারা মাঝে মধ্যে তাদের পশু খেয়ে যায়। একদিন হিকাপ একটি ড্রাগনকে গুলি করে কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করে না। তাই সে একাই বনে যায় এবং আহত ড্রাগনকে খুজে পায়। কিন্তু হত্যা করার বদলে তাকে মুক্তি দেয়। হিকাপকে বলা হয়েছিল ড্রাগন খুব হিংস্র প্রানী কিন্তু তার বিশ্বাস হয়নি। তাই সে আবার সেই ড্রাগনটিকে খুজে বের করে যে কিনা আহত হবার কারণে উড়তে সক্ষম নয়। হিকাপ তার সাথে বন্ধুত্ব করে এবং একটি কৃত্রিম লেজ বানিয়ে দেয়। অথচ এর পাশাপাশি চলে তার ড্রাগন হত্যার প্রশিক্ষন কারন খুব শীঘ্রই তাকে বেরোতে হবে ড্রাগনদের সাথে যুদ্ধ করতে, অন্যান্য গ্রামবাসীদের সাথে, তার বাবার নির্দেশানুযায়ী।

৯৮ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই মুভিটি ২০০৩ সালে প্রকাশিত একই নামের গল্প অবলম্বনে নির্মিত। মুভি সমালোচকদের পজিটিভ মন্তব্যের জোরে এটি এখনই আগামী অস্কার প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। রোটেন টম্যাটোস এর মতে ১৪০ টি সিনেমা রিভিউর মধ্যে ৯৮ শতাংশই একে ভালো এবং সাফল্যজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন। মার্চের ২০ তারিখে মুক্তি পাওয়া এই মুভি এর মাঝেই একশ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করে নিয়েছে।

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *