১.
বিশ টাকা দামের টিকিটে সিনেমা দেখার জন্য আমি পনেরো টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে যখন টিএসসি পৌছুলাম তখন মোবাইলের ঘড়িতে ১.৩০পিএম। দেড়টায় সিনেমা শুরু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, সে জন্যই রিকশা নিয়ে তাড়াহুড়ো করে আগমন, কিন্তু দেখা গেল, দেড়টায় অপেক্ষামান দর্শককে সারি করে দাড়ানোর নির্দেশ পাওয়া গেল। সারির শেষ মাথায় গিয়ে দাড়ালাম। আমার মানিব্যাগের কোনায় ভাজ করে রাখা আমার ভাষার চলচ্চিত্রের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনের একটি টিকিট, সিনেমার নাম 'জাগো'।
গতকালকে এসেছিলাম আবু সাইয়ীদ পরিচালিত 'কীত্তনখোলা' দেখার জন্য। সিনেমা শুরু হবার আগে পরবর্তীতে দেখানো হবে এমন সিনেমাগুলোর ট্রেলার দেখানো হচ্ছিল। 'জাগো' সিনেমার ট্রেলার দেখতে দেখতে চোখে পানি চলে এল - দেখবো সেরকম একটা ইচ্ছা আগেই ছিল, এবার পাকাপোক্ত হল। 'কীত্তনখোলা' দেখার পরেই 'জাগো'র অগ্রিম টিকিট কিনে ঘরে ফিরেছিলাম। আজ সেই টিকিট নিয়ে আমি দর্শক সারিতে।
টিএসসি সিনেমা দেখােনার জন্য ভালো জায়গা নয়। সাদা যে পর্দার উপর প্রজেকশন করা হয় সেটা নিভাঁজ নয়, ৭/৮ সারি পেছনে বসলে পর্দা আর দর্শকের মাঝে ঝুলন্ত ফ্যান জায়গা দখল করে নেয়, সেই সাথে সামনের সারির মানুষের মাথা তো আছেই। গত কয়েকবছরে সিনেমা দেখে এই সব সমস্যা সম্পর্কে আমি অবগত, সুতরাং দেখার জন্য আমি চতুর্থ সারিতে একদম মাঝামাঝি বসলাম। অন্ধকারের মধ্যে ছোট ভাই মুকিত আমাকে কিভাবে যেন খুজে বের করে পাশে এসে বসল। কিন্তু সিনেমা শুরুর আগে পরবর্তী সিনেমাগুলোর ট্রেলার যখন দেখাচ্ছিল তখন এক কাপল এসে ঠিক আমাদের সামনের সারিতে বসল। তাদের মাথা দৃষ্টিকে বাধাগ্রস্থ করছে বলে মুকিত পাশে একসিট সরে বসল। সামনের কাপল জড়াজড়ি করে এক হয়ে গালে গাল মিশিয়ে সিনেমা দেখতে বসল। আমি গালি দিলাম - 'শূয়োরের বাচ্চা', এদের জন্য আজকে সিনেমাটা উপভোগ্য হবে না।
২.
ফেরদৌস কুমিল্লা একাদশের ফুটবল খেলোয়ার, পাড়ার ছেলেদের সাথে তার বেশ ভালো সম্পর্ক, ছোটভাইয়ের মতই। কুমিল্লা একাদশের ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হওয়া ফেরদৌসকে খেলতে হবে ত্রিপুরা একাদশের বিরুদ্ধে। গত দশবছর ধরে প্রতি দুই বছরে একবার এই খেলা হয়, এবং প্রতিবারই কুমিল্লা একাদশ হারে - ফেরদৌসের বিশ্বাস এইবার কুমিল্লা একাদশই জিতবে। ছেলেরাও এই বিশ্বাসই করে। ফেরদৌসের উপর তাদের আস্থা অনেক।
বিবাহিত ফেরদৌসের বউ বিন্দু খেলাধুলা তেমন পছন্দ করে না, তাই বলে স্বামীর খেলাধূলায় খুব বাধও সাধে না। দুজনের প্রেমময় সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক বোঝা যায় সকাল বেলার খুনশুটিতে। বিন্দু আর ফেরদৌসকে মিলে শুরু হয় গান - রিমঝিম রিমঝিম বৃষ্টি, কি অনাসৃষ্টি .. । আমার সামনের কাপল এর মাঝে বেশ কবার ভাদ্র মাসের কুত্তার মতো সবার সামনেই লীলাখেলা শুরু করেছে - গালে গাল ঘষাঘষি শেষে চুমাচুমিতে যাওয়ার পর আমার আর সহ্য হল না। রাগে গা জ্বলছে, ইচ্ছে করছে দুজনের মাথা দুটো নারকেলের মতো ঠুকে দিয়ে ফাটায়া দিই। 'এক্সকিউজ মি, আপনারা সরেন এইখান থেকে - আপনাদের জন্য ডিস্টার্ব হচ্ছে। পাব্লিক প্লেসে এসে এইসব যা করতেছেন তা কিছুতেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না' - দুজনেই সরে বসল। আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম ছেলেটা যেন প্রতিবাদ করে। করলেই আমি তার মুখে একটা ঘুষি লাগাবো এবং আমার বাশের মত গলায় চিৎকার করে সিনেমা বন্ধ করে এই দুইটা হারামজাদাকে এইখান থেকে বের করার ব্যবস্থা করবো। বোঝাই যাচ্ছে এইগুলা ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রী না, সুতরাং প্রতিবাদ করবে সেই সাহস এদের থাকার কথা না। বান্ধবীর পেছন থেকে হাত সরিয়ে ভদ্র ছেলের মতো বসল ছেলেটা। আমি আবার সিনেমায় মনযোগ দিলাম।
৩.
ছেলেদের মধ্যে জয় হল কিছুটা মেয়েঘেষা। পাড়ার সব মেয়েরাই তার প্রেমিকা - এই নিয়ে বন্ধুদের রসিকতাও কম না। এরকমই একদিন হঠাৎ জানা গেল কুমিল্লা একাদশ প্র্যাকটিসে যাওয়ার সময় এক্সিডেন্ট করেছে। ফেরদৌসের বাড়ির সামনে খাটিয়ায় লাশ সাজানো, ভেতর বাড়িতে মায়ের আহাজারি, স্ত্রী বিন্দুর স্থবিরতা, ভক্ত ছেলেগুলা কান্নাকাটি করছে, লাশ নিয়ে রওয়ানা হয়ে গেলে ফেরদৌসের মা ছুটে এসে ফেরাতে চাইলেন, অন্যান্য মহিলারা তাকে বাধা দিল, পাড়ার ছেলেরা লাশ কাধে নিয়ে কাদতে কাদতে রওয়ানা হল - তাদের সাথে যোগ দিয়ে আমিও কাদতে লাগলাম। কত কত সিনেমা দেখেছি, চোখে পানি চলে এসেছে এমন সিনেমাও আছে, কিন্তু এমন পরিস্থিতি কখনো হয়নি।
৪.
কুমিল্লা একাদশ দুর্ঘটনায় পড়ায় ম্যাচ বাতিল হল। ত্রিপুরা একাদশের অধিনায়ক অপমানজনক কথা বললেন পত্রিকার সাক্ষাতকারে। ছেলেরা সিদ্ধান্ত নিল কুমিল্লা একাদশের হয়ে তারা খেলবে। ম্যানেজারকে রাজী করানো হল। তিনি বললেন কোচ হিসেবে সাফু ভাইকে নেয়ার কথা। কিন্তু সাফু ভাই গত ৪ বছর ধরে সব কিছু ছেড়ে দিয়ে মুদি দোকানদারী করছেন। ম্যানেজার তাকে রাজী করানোর চেষ্টা করলেন, কিন্তু ব্যর্থ হলেন। সাফু ভাই ফেরদৌসকে দেখতে গেলেন - তার মনে পড়ে গেল ৩৭ বছর আগের কথা। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের একজন সদস্য ছিলেন তিনি। দেশের হয়ে খেলেছেন। পরেরদিন মাঠে এসে ম্যানেজারকে বললেন - আমার একটা স্টপ ওয়াচ লাগবে। বুকের ভেতর থেকে একদলা কান্না আমার চোখে চলে এল। মনে হচ্ছে আমিই যেন একজন কোচ পেয়ে গেলাম। এইবার ত্রিপুরা একাদশকে দেখায়ে দিবো, আমাদের সাথে আছেন সাফু ভাই।
আমি রুমাল দিয়ে আড়ালে চোখ মুছে ফেললাম।
৫.
ট্রেনিং চলছে। সাফু ভাই আমাদের বললেন, কুমিল্লার সম্মান রক্ষার্থে আমরা খেলতে নেমেছি, কিন্তু এ খেলা শুধু কুমিল্লার জন্য নয়। এ খেলা দেশের। দেশের জন্য ছোট ছোট বিষয়গুলোকে উপেক্ষা করে দেশের জন্য লড়তে হবে। সাফু ভাইয়ের কথায় আমার বুকের ভেতর দামামা বাজতে লাগল। এই দেশটা তো আমারই, এই দেশটাকে ভালো না বেসে কাকে ভালোবাসবো। আমার সামনের কাপলটা উঠে গেছে কিছু সময় আগে। দেশকে ভালোবাসার চেয়ে অপরকে ভালোবাসার তাড়নায় তারা দুজন উঠে গেছে, আমরা যাই নি, আমরা বসে আছি, আমাদের ছেলেরা খেলবে ত্রিপুরার সাথে, আমরা আমাদের ছেলেদের সমর্থন করবো। এটাই আমার দেশপ্রেম, এর কাছে ব্যক্তিপ্রেম খুবই তুচ্ছ। আমি মনে মনে গর্বিত বোধ করলাম।
৬.
দুটো ম্যাচ খেলবে কুমিল্লা একাদশ এবং ত্রিপুরা একাদশ। মাঠে নামল দুই দল। আমাদের ছেলেরা মাত্র এক মাসের প্রশিক্ষন নিয়েছে কক্সবাজার সি-বিচে। আজ তার পরীক্ষা। মাঠভর্তি দর্শক। ত্রিপুরা একাদশ যেন ত্রিপুরা একাদশ নয়, ত্রিপুরা হল ভারত। কুমিল্লা একাদশ শুধু কুমিল্লা নয়, কুমিল্লা একাদশ মানে বাংলাদেশ। ত্রিপুরার সম্মানে জাতীয় সংগীত বাজানো হল। তারা বুকে হাত দিয়ে সম্মান জানালো। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত শুরু হতে না হতেই উঠে দাড়ালাম - আমি একা নই, টিএসসির অডিটোরিয়াম ভর্তি শত শত দর্শক দাড়িয়ে পড়ল। আমাদের জাতীয় সংগীত। আমাদের পতাকা। আমি বোকার মত সোজা দাড়িয়ে থেকে ভ্যা করে কাঁদতে থাকলাম।
৭.
দুটো ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ত্রিপুরার সাথে। প্রথম ম্যাচে ৫-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে দর্শক নেই গ্যালারীতে। খোদাবক্স মৃধা তার ধারাভাষ্য দিয়ে যাচ্ছেন বিরামহীনভাবে। নতুনভাবে উজ্জীবিত ছেলেরা আজ মাঠে নেমেছে। খেলা শুরু হতে না হতেই বাংলােদশ বলের দখল নিয়ে নিল। তারপর দেখতে দেখতে সেই বল পাঠিয়ে দিল ভারতের জালে। আমি গলাফাটিয়ে চিৎকার করে উঠলাম - গোওওওল, গোল গোল। সর্বশক্তি দিয়ে দুই হাতে তালি দিচ্ছি - একা নই। আরও দর্শক আছে আমার সাথে। তারাও চেচাচ্ছে। এই গোলটা সিনেমার না, এই গোলটা বাংলাদেশের এই গোলটা আমাদের। আনন্দে আমার বুক ধরফর করতে লাগল।
৮.
বাজারে এক মাছওয়ালা মাছ নিয়ে বসে আছে। তিনশো টাকার মাছ আড়াইশো টাকা দরে সে বেচে দিল। পাশের মাছওয়ালা বলল - এত সস্তায় দিলি? মাছওয়ালা বলল - আজকে খেলা আছে না? মাছ জীবনে অনেক বেচতে পারবো, কিন্তু এই খেলা বারবার আসবে না। অামার গলা দিয়ে অজান্তেই বেরিয়ে এল - সাব্বাশ!
৯.
ট্রাইবেকার চলছে। বাংলাদেশ ১, ভারত ৩। আমাদের গোলকিপার ছেলেটা কুচকুচে কালো, সামনে উচু দাত। এই খেলায় জিততে হলে তাকে এই গোলটা ঠেকাতেই হবে। আমি জানি সে ঠেকিয়ে দেবে, সিনেমার নিয়মই এটা। কিন্তু মন মানে না। আমি বিরবির করে বললাম - ঠেকায়ে দে শালা! ত্রিপুরার খেলোয়ার কিক নিল। আমাদের গোলকিপার ছেলেটা উড়ে গিয়ে সেই বলটাকে ঠেকিয়ে দিল। আমি আনন্দে অডিটোরিয়াম ফাটিয়ে চিৎকার দিলাম - ওওওওও .....
১০.
সর্বশেষ কিক। এই কিকেই নির্ধারিত হয়ে যাবে জয় পরাজয়। একটা জয় আমাদের দরকার। এই জয়টা শুধু ফুটবলে ত্রিপুরার বিরুদ্ধে কুমিল্লা একাদশের বিরুদ্ধে জয় নয়। এই জয়টা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, এই জয়টা কাটাতাের ঝুলন্ত ফেলানীর জন্য, এই জয়টা ফারাক্কা বাধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মরূভূমি করার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে, এই জয় তিস্তা বাধ, টিপাইমুখ বাধের বিরুদ্ধে, এই জয় ভারতের সমগ্র আগ্রাসী থাবার বিরুদ্ধে। খোদাবক্স মৃধা তার চিরপরিচিত কন্ঠে ধারাভাষ্য বর্ণনা করে যাচ্ছেন, খেলায় টানটান উত্তেজনা। রেফারীর বাশি সেই উত্তেজনাকে শতগুনে বাড়িয়ে দিল - আমাদের ছেলেটা দৌড়ে এসে বলে কিক করলো - আর সেই বলটা সমগ্র বাংলাদেশের চৌদ্দকোটি জনতার আবেগ, শক্তি আর প্রত্যাশা নিয়ে আগুনগোলা হয়ে বিশালাকৃিতর ভারতকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়ে গোলপোস্টে ঢুকে পড়ল। আমি আবারও আমার সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকার করলাম - গোওল .......। খোদাবক্স মৃধা উচ্ছ্বসিত কন্ঠে একটা দলের বিজয়গাথা বর্ননা করে যাচ্ছেন, আমাদের ছেলেরা মাঠে দৌড়াচ্ছে, তাদের হাতে পতাকা। একটা জয় - অনেকদিন বাদে আমাদের একটা জয়। এই জয় প্রমাণ করে দিচ্ছে - আমরাও পারি, আমরাই পারি। দরকার শুধু একটি দলবোধ, দরকার নিষ্ঠা, দরকার ব্যক্তিপ্রেমকে ছাপিয়ে দেশপ্রেমের উদয়। যে এগারোটা ছেলে মাঠ দাপিয়ে আমাদের একটি জয় এনে দিয়েছে সে আর কেউ নয় - সে আমিই, আমরাই।
বুকভরা আনন্দ আর তৃিপ্ত নিয়ে রুমালটা মুখে চেপে ধরে অডিটোরিয়ামের গাঢ় অন্ধকারে আমি শিশুদের মতো বুকের গভীর থেকে তুলে এনে ডুকরে ডুকরে কাদঁতে থাকলাম।
37 মন্তব্যসমূহ
শুনেছি এ মুভিটার ডিভিডি পাওয়া যায়। আমি কালকেই কিনবো
উত্তরমুছুনতর সইছেনা দেখার জন্য।
একেই বলে আবেগ। আপনার মত আমারও আবেগে চোখে পানি এসে গিয়েছিল ছবিটা হলে দেখতে গিয়ে, প্রত্যেকটা গোলের পর আমিও আনন্দে চিৎ কার দিয়ে উঠেছি। তবে জনৈক কিছু মাতব্ববের ''ছবিটা ভালো, কিন্তু আরো ভালো হতে পারত'' টাইপ কমেন্ট শুনলেই আমার মাথায় রাগ চেপে যায়। এরা কি আবেগ-অনুভূতির উর্ধে !!
উত্তরমুছুনছবিটা এখন দেখি নি, দেখি ম্যানেজ করতে পারি কিনা।
উত্তরমুছুনআগ্রহটা বাড়িয়ে দিলেন বটে!!
উত্তরমুছুনসিনেমা টা প্রথম যখন বের হল তখন আমরা ১০-১২ জন বন্ধু মিলে বলাকা তে দেখতে গেসিলাম। (সবাই কম বেশি কালো গরিব টাইপ, বসুন্ধরা তে কম যাওয়া হয় সিনেমা দেখতে ।) ইয়ে মানে ফেরদৌস যে সাইজ এর ভুঁড়ি নিয়ে ম্যান ইউ র ( যতদূর মনে পড়ে, ভুল ও হতে পারে। ) জার্সি গায়ে দিয়ে দৌড়াচ্ছিল এইটা দেখে একটু কেমন কেমন লাগলেও সিনেমা টা বেশ আনন্দ নিয়ে দেখসিলাম। তারিক আনাম এর ব্যাপারে তো কিছু বলার নাই...বস মানুষ। আর লাস্ট এ খেলার সময় পুরো হল এক সাথে গোল গোল করে চিল্লাচ্ছিলাম এইটা মনে আছে। :)
উত্তরমুছুনMovie ta dekhini ekhono.... tobe ekhon dekhbo.....likhata pore agroho jagche... valo hoyeche....
উত্তরমুছুনসেই রকম সাউন্ড আর যত বড় পর্দা সম্ভব ম্যানেজ করে দেখার চেষ্টা করেন। তাহলে সেইরকম মজাটা হবে।
উত্তরমুছুনশুভকামনা রুশো ভঅই।
হা হা হা - নাবিল আপনারে একটা গল্প বলি।
উত্তরমুছুনতারসেম সিং তার দ্য ফল সিনেমাটা বানানোর পরে প্রথমে একটা ফিল্ম ফেস্টিভালে মুক্তি দেয়। এর আগে অনেকগুলো ডিস্ট্রিবিউটরের সাথে তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক করা ছিল। তার বিশ্বাস ছিল সমালোচকরা মন্তব্য করার ফলে তিনি বেশী দামে বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু ঘটনা ঘটল উল্টা। সমালোচকরা খুবই নেগেটিভ মন্তব্য করলেন। ফলাফল - সব অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল হয়ে গেল।
দুই বছর পরে সেই একই সিনেমা ব্যবসা করা শুরু করল যখন রজার এবার্ট একে ৪ তারা দিলেন।
আমার বক্তব্য হল - একই সিনেমা একেকজনের কাছে একেকরকম লাগতে পারে। এইটা সমস্যা না।
দ্য ফল এর এই কাহিনী থেকে আমার চিন্তা হচ্ছে এই 'জাগো' সিনেমাটাকে কিভাবে আবার ব্যবসা সফলের তালিকায় নিয়ে যাওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করা। দেখি পারা যায় কিনা :)
দেখে নিন বস। প্রথম দিকের অভিনয় একটু কাচা লাগতে পারে, তাদেরকে মাফ করে দেয়া যায় যখন জানবেন তারা ভালো ফুটবলার। সিনেমার প্রয়োজনে অভিনয় করতে এসেছে - সুতরাঙ একটু কাচা অভিনয় করতেই পারে। তবে সিনেমাটা জোস :)
উত্তরমুছুনসম্ভব হলে বড় পর্দায় দেখুন। এই সিনেমাটার ব্যবসা করা উচিত ছিল। সেই সুযোগটা আরেকবার দেয়া যেতে পারে :)
দারাশিকোর ব্লগে স্বাগতম যোবায়ের :)_
উত্তরমুছুনবড় পর্দায় দেখার চেষ্টা করুন বস। তাহলেই পুরো মজা :)
ফেরদৌসের কাস্টিংটা ঠিক মনে হয় নি, এটা মানছি, কিন্তু আমি তার অলটারনেটিভও কাউকে দেখছি না। সিনেমা অভিনেতাদের মধ্যে কে হতে পারতো তার বিকল্প? রিয়াজ নয়। অন্যান্য বানিজ্যিক অভিনেতারা তো নয়ই। তাই ফেরদৌসই মন্দের ভালো :)
উত্তরমুছুনআমি আপনার চেয়েও গরীব। এতদিন পরে ডিভিডি প্রজেকশনে দেখতে হল :(
দারাশিকোর ব্লগে স্বাগতম ভাই :)
উত্তরমুছুনসিনেমাটা সত্যিই দেখার মত। এই সিনেমা এতদিন দেখিনি সেটা বিশাল মিস :(
ভালো থাকুন। আসবেন মাঝে মাঝে :)
lekhta pore eto valo laglo j movita na dekhlei noy..............
উত্তরমুছুনস্বাগতম লাবন্য :)
উত্তরমুছুনদেখবেন নিশ্চয়ই :)
সিনেমাটা আগেই দেখেছি। ভাল লেগেছে। তবে আরো ক্লাইমেক্স তৈরীর সুযোগ ছিল। ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনআসলেই ভালো.......এইটা দেখে অনেক তৃপিত্ পাইছি....
উত্তরমুছুনna boss valo theklona....chobita dekhsi...aha mori goser kisu na....prothomei mone hoilo sob scene a kemon jani akta hindi cinemar gondho.......chakde india type.....training session ta purai faoul...shudu shudu coxs bazar e niya khali khali laf jaf......mane ami bolte chacchi kono techniqal training dekhano hoini....director k football khela niye aktu gobeshona korte hoito.....stadium a je scene dekhano hoise tar maximum ee long short a kora......mane chobir mul ovinetader khelar je expression ....khelar chap ,gham footballer kick,aigula aro specific hoite parto fole emotion ta mair khai....stadium er drissogulan dekhe mone hocche....kono district er private cable operator vittik channel er local kono khela live telecast hcche.....tarik anam khan chara karor eee ovinoy valo lageni........akdom sese...ferdous er chador uriye diye dariye jawar drisso as expected......hassokor.......tobe music valo.......cinematography valo thekeni......bos ai sob gula akantoi amar mota mot mind a niyen na.........er cheyeo valo hoite parto.....
উত্তরমুছুনস্বাগতম বিপু দেব।
উত্তরমুছুনআপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ :) আবার আসবেন :)
আপনার রিভিউয়ের জন্য পাঠকেরা অপেক্ষা করে :)
উত্তরমুছুনলিখুন শোয়াইব সৈনিক :)
এই সিনেমা সম্পর্কে যারা নেগেটিভ মন্তব্য করেছে তাদের কারও কথাকেই আমি উড়িয়ে দেই নি। তারা খুব ভুল বলেছেন সেটাও বলি না। আমার ভুল করার সম্ভাবনা বেশী - সম্ভবত এখানেও তাই হয়েছে।
উত্তরমুছুনচাক দে ইন্ডিয়া আমি দেখি নাই - হিন্দী সিনেমা বলে । হয়তো এটা একটা কারণ সিনেমাটা ভালো লাগার পেছনে। আমার কাছে কম্পেয়ার করার মতো কিছু ছিল না - হয়তো এই একই কারনে আপনার কাছে ভালো লাগে নি। আপনি এই উপমহাদেশেই এর চেয়ে ভালো সিনেমাটি দেখে ফেলেছেন। আমার ভুল হতে পারে।
হুম কক্সবাজারে ট্রেইনিঙ বিষয়ে আরও অনেক কিছু করা যেত। পরিচালক আরও গবেষনা করতে পারতেন সবই সত্যি। খেলার শটগুলা আরও ক্লোজশটে নেয়া যেত। ফেরদৌস এর পরিবর্তে আরও ভালো অভিনেতা নেয়া যেত। সবই সত্যি। এতে সিনেমাটা আরও ভালো হতে পারতো মানছি - কিন্তু আমি যেহেতু এই সিনেমায় বেশ সন্তুষ্ট এবং ত্রুটিগুলোকে মাফ করে দিতে পেরেছি তাই সিনেমাটা এতটা এনজয় করা গেল। বাংলাদেশের সিনেমা এবং নতুন পরিচালকের প্রথম সিনেমা বলে আমি খুব খুত ধরিনি। ধরতে চাই নি। বাংলাদেশের সিনেমা দেখার সময় আমি একটু পার্শিয়াল্টি করি। এইটা তার একটা।
আরেকটা ব্যাপার আছে - আমার মনে হয় হলের বড় পর্দা আর উচ্চ সাউন্ড আমাকে এতটা প্রভাবিত করেছে। তবে সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে কোন নেগেটিভ মন্তব্য করার সাহস আমার নেই। আমি খুবই স্যাটিসফায়েড এই সিনেমাটোগ্রাফিতে। এক বছরে যতগুলো সিনেমা মুক্তি পায় তার খুব কমই এত ভালো সিনেমাটোগ্রাফি থাকে। ক্যামেরার মুভমেন্টস্টাইল এবং লাইটিং - সুপার্ব।
এই তো। এই সিনেমাটা দেখার পর আমি নিজের প্রতি খুব খুশী। আমি যে খুব কাটখোট্টা হয়ে যাই নি এই সিনেমা সেটা দেখিয়ে দিল :)
thanx.....boss
উত্তরমুছুনমুভিটা আমার কাছে ভালো লেগেছে।আমাদের সল্প বাজেট আর দূর্বল ব্যবস্থাপনার মধ্যে এটাকে মন্দের ভালো বলা যেতে পারে।তবে আপনার সেই দুই কাপল কে বলা কথাটা মজা লেগেছে।সত্যিই ঘুষি দিতেন নাকি?
উত্তরমুছুনতাকে যখন সরে বসতে বলেছিলাম তখন মেজাজ চরম খারাপ হয়ে ছিল। অসম্ভব কিছু হতো না যদি ঘুষি মেরে দিতাম। অন্তত: চিৎকার করে যে একটা সিন ক্রিয়েট করতাম সেটা নিশ্চিত। শয়তানের কপাল ভালো ...
উত্তরমুছুনএইটাও অবশ্য ঠিক ই বলেছেন। বাংলাদেশের সিনেমার এই জিনিস টা আমার বড়ই আজব লাগে। বাইরের দেশ (এমনকি ভারতের ও) এর অভিনেতা রা সিনেমায় ঢোকে বেশ বাজে আর আনপলিশড চেহারা নিয়ে...একবার খ্যাতি পেয়ে গেলে তাদের চেহারা আর বডির চরম টাইপ এর উন্নতি ঘটে। মানে পুরো ১৮০ ডিগ্রি পরিবর্তন বল্লেও খুব ভুল বলা হবে না। কিন্তু আমাদের দেশ এর অভিনেতা রা একরকম চেহারা নিয়ে আসে আর তার পর তাদের চেহারার পরিবর্তন টা হয় দেখার অযোগ্য :S
উত্তরমুছুনব্যাপারটা বোধহয় আপনিও জানেন। অন্যান্য জায়গাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সিনেমা তৈরী হয়। এমনকি ভারতেও মশালা সিনেমাতে নানারকম কসরত করতে হয়। ফলে একজন অভিনেতাকে তার শরীরকে বেশ ফিট রাখতে হয় বিভিন্ন ধরনের সিনেমায় অভিনয় করার জন্য। দ্বিতীয়ত, এদেশে সিনেমার দর্শকরা এই ধরনের নায়কদের খুব পাত্তা দেয় না (নির্দিষ্ট এক শ্রেনী বাদে), ফলে এদের কাছ থেকে কোন এক্সপেক্টেশন্স ও থাকে না - তাহলে ওরা কেন তাদের শরীর নিয়ন্ত্রন করবে?
উত্তরমুছুনহা হা
উত্তরমুছুনএই মুভিটাই বাংলাদেশে গত ৮/৯ বছরে মুক্তিপাওয়া সবচেয়ে ভাল সিনেমাটোগ্রাফীর কাজ দেখানো মুভি বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। শট ডিজাইনে যথেষ্ট কাজ করা হয়েছে। যা কোন কালেই কোন মুভিতে করা হয় না এই দেশে, সেই পোষাক এর ব্যাপারেও চিন্তা ভাবনা করা হয়েছে এই মুভিতে। ডেপথ অফ ফিল্ড এর কাজ খুব ভালই করা হয়েছে। সাউন্ড খুবই চমতকার, লাইটিং এর তেমন কিছু করার ছিল না এই মুভিতে, তাও যেটুকু সুযোগ ছিল তা করা হয়েছে। অভিনয়ে যাদের করার কথা, ফেরদৌস, শুভ, রওনক আর আরেকটা ছেলে সবাই ভালই করেছে। তারিকআনাম এবং ফুটবল সংগঠক লোকটা তাদের অভিনয়ের জবাব ছিল না। মুভির কাহিনীতে ভালই গতি ছিল। দেখতে বসে শেষটুকু পর্যন্ত দেখতে ইচ্ছে করেছে । একটা মুভি সফল হতে আর কি কি করা দরকার? যা দরকার ছিল তা হল একটা বিবেকসম্পন্য, ভাল অর্ডিয়েন্স। সেটি আমাদের নেই, তাই মুভিটা ব্যবসাসফল নয়।
উত্তরমুছুনহালের বাংলা বালের সিনেমা যেখানে শাকিব খান হা হু করে সেগুলো, বা ফারুকীর নাটক মার্কা মুভি নিয়ে লোকজন বেশ আপ্লুত হয়ে যায়। আর জাগো নিয়ে নাক উচাগিরি। আমার বেশ রাগই লাগছে।
উত্তরমুছুনফেরদৌসকে আমার বেশ ভাল কাষ্টই মনে হয়েছে। আর কে হতে পারত এখানে? ওর ভুরি ওত বেশী হয়ে যায় নি যে এখানে মানাবে না। অভিনয় তো ভালই করেছে। অনেক খুনিনাটি ছিল মুভি্টাতে। তারিক এনাম যখন মাঠে গেল প্রথম, সেখানে স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের স্মৃতি নিয়ে ভাবছে, তখন শুধু সাউন্ড ইফেক্ট দিয়ে দর্শক জাগিয়ে দিয়েছেন ডিরেক্টর। সেখানে একটা হলিউডি মুভি হলে হয়ত ওই স্মৃতি ভিজ্যুয়ালী দেখাতো। এখানে নানা স্বল্পতায় তা সম্ভব না, কিন্তু শুধু ধারাভাস্য দিয়ে আর ঠিক সেই মুহুর্তে সাউন্ডকে ইকোর সাথে থামিয়ে দিয়ে যখন তারিক মাথার উপরে দুহাত তুললেন। এর কোন তুলনা কি আছে আজতক কোন বাংলা মুভিতে ইনক্লুডিং পশ্চিম বাংলা মুভি? নেই নেই।
রিমঝিম বৃষ্টি বা পথে চলতে পথে চলতে গানের যে দৃশ্যায়ন সেটির কোন তুলনা আছে দেশীয় আর কোন মুভিতে? পরিচালকের যত্নের জায়গাটাকি কারও চোখে পড়েছে? যে ব্রিজটিতে পথে চলতের নাচানাচি হল তার রেলিং সাদালাল রংটা উজ্জল। নিশ্চই এটা রোডস এন্ড হাইওয়ে করে যায় নি, প্রডাকশন টিম নিজে এটি শ্যুটিং এর আগে করেছে। একই গানে সমুদ্রসৈকতে শুভ আর আরেকটি নায়িকার কাঠের টেবিলে বসা দৃশ্য। সবগুলো টেবিল আর ওই প্ল্যাটফর্মটা ঝকঝকে টিয়া কালার। এটাও প্রডাকশন টিমের শ্যুটিং এর উদ্দেশ্যে করা। তার সাথে শুভ আর মেয়েটার আউটফিট। এই যত্ন বা এইরকম করার চোখ আর কোন ডিরেক্টর দেখাতে পেরেছে। এমন কোন কিছু দেখানো উচিত না মুভিতে যা চোখে ইন্টারেষ্টিং লাগবে না। এই নিয়মটা এ্ই মুভিতে দেখেছি। তা না হলে দেশের কোন মুভিতে ব্রিজ আর টেবিল রং করার ঝামেলাটা করা হয়? ফারুকী মুভি হলে রং ছাড়া টেবিল নিয়ে সমালোচনা হলে বলত আমরা রিয়েল জিনিসটি দেখাতে চেয়েছি, রিয়েল লাইফে তো টেবিলটি এমনই ছিল। না রিয়েল লাইফ দেখার জন্য মানুষ ১০০ টাকা টিকিট দিয়ে হলে যায় না। রং চং ইন্টারেষ্টিং জিনিস দেখার জন্যে যায়। খিজির হায়াত খান তা দেখিয়েছে। জাগো মুভি তা দেখিয়েছে।
দ্য রন্টিদা ইজ ব্যাক :) :)
উত্তরমুছুনআপনার একটা পয়েন্টেও দ্বিমত করার কোন সুযোগ নেই। রাশেদ জামানের একটা ওয়ার্কশপ করেছিলাম। ওখানে তিনি তার ডিরেকশনের একটা মিউজিক ভিডিও-র বিশ্লেষণ করেছিলেন। তখনই বুঝেছিলাম তিনি রং নিয়ে বেশ ভালো খাটাখাটি করেন। যদিও জাগো সিনেমায় তিনি সেকেন্ড ক্যামেরাম্যান (ভুল হতে পারে, তবে ডিওপি'র নামে তার পজিশন দ্বিতীয় ছিল), কিন্তু আমার বিশ্বাস পথে চলতে চলতে - এই গানটার সিনেমাটোগ্রাফি তিনি করেছেন। কি দারুন একটা উপভোগ্য সিনেমা - এই সিনেমা কেন লোকে গ্রহণ করলো না সেইটা নিয়া একটা স্টাডি হওয়া উচিত।
সিনেমাটা দেখার পর আমি এতটাই আপ্লুত-বিমোহিত যে আমি চিন্তা করছি সিনেমাটাকে আবার প্রিমিয়ার করার কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা। কত সিনেমাই তো আছে, প্রথমে পাত্তা পায় না, তারপর যত সময় যায় ততই সিনেমার গুন বোঝা যায় - জাগো তো সেরকমই একটা সিনেমা বলে মনে হচ্ছে।
খিজির হায়াত খানকে পেলে আমি এই প্রশ্নটাই করতাম - জাগো-কে রি-রিলিজ দেয়ার কোন পরিকল্পনা আছে আপনার?
আবার অনলাইন হওয়ায় ভালো লাগছে রন্টিদা। ভালো থাকুন :)
চমৎকার বর্ণনা দারাশিকো ভাই। অসম্ভব ভাল লাগল।
উত্তরমুছুনস্বাগতম বুয়েটিয়ান এবং ধন্যবাদ :)
উত্তরমুছুনআমার মনে হয় এই সিনেমা ফ্লপ হওয়ার একটাই কারন, আর সেটা হল চাক দে ইন্ডিয়া।
উত্তরমুছুনএক লাইন এ স্টোরি বলতে হলে, দুটো সিনেমার গল্পই মোটামুটি এক।
চাক দে ইন্ডিয়া যেহেতু মোটামুটি সবাই দেখেছে, তাই জাগো তে তারা নতুন কিছু খুজে পায় নি।
তবে আবেগের জায়গা থেকে দেখলে সিনেমাটা ভাল লাগতেই হবে।
দেশটাকে মনে মনে গালাগালি তো কম করিনা।
কিন্তু তবু দেশের কিছু ছোট্ট ছোট্ট জিনিস কি চরম ভাবে আবেগাপ্লুত করে ফেলে...
আসলে দেশটাকে তো আমরা খারাপ বাসি না।
কি বলেন???
(আপনি কিন্তু হিন্দি সিনেমা না দেখলে একটা ধারা মিস করবেন। সব সিনেমা কিন্তু খারাপ হয় না। তথাকথিত প্রেমের কচকচানি নাই বা দেখলেন। কিন্তু ভাল সিনেমা গুলো দেখলে বোধ হয় আপনারই ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হবে। উপদেশ না ভাই, বললাম আর কি!!)
হিন্দী সিনেমা না দেখলে একটা কিছু মিস করবো, আমি অষ্বীকার করি না। কিন্তু হিন্দী সিনেমা নিয়ে সবসময় মিশ্র মন্তব্য পাই - সিনেমাখোরদের একটা অংশ ভালো বলে, অন্য অংশ খারাপ বলে। এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য হিন্দী সিনেমা দেখা আপাতত ঠিক বলে মনে করছি না। যে সিনেমা সম্পর্কে সবাই এক - সেই সিনেমাগুলো দেখে নেয়ার চেষ্টা করি।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ জোনাক পোকা :)
ভালো থাকুন :)
Boss............Movie tar onk lacking thakleo.......Bangladesh er prekkhapote khubi bhalo hoiche.......R Ferdous,Tarik Anam o valoi acting korche......Tobe akta kotha thik Chak De Movie ta asholei onk valo......ami ADmin k request korbo movie ta dekhar jonno......Gotanugotik dharar movie na.....
উত্তরমুছুনওকে বস। চাক দে ইন্ডিয়া লিস্টে রাখলাম। আজকেই নামাতে দেয়া যায় কিনা দেখছি।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ ফর ইয়োর রিকমেন্ডেশন :) :)
Thanks
উত্তরমুছুন[...] কাছে, ঠিক যেমনি বাংলাদেশী সিনেমা ‘জাগো’ তে ত্রিপুরা একাদশের পরাজয় মানে [...]
উত্তরমুছুন