আসল কথায় আসি, ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানি নিয়ে দেশ স্পষ্টত দুই ভাগে বিভক্ত। উভয় পক্ষ যার যার অবস্থানের পক্ষে জোড়ালো মতামত তুলে ধরেছেন। এক পক্ষ বলছেন, এটি দেশীয় চলচ্চিত্রের জন্য হুমকি। এটা দেশের এই সম্ভাবনাময় শিল্পকে ধ্বংস করবে, ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আরো বাড়িয়ে দেবে ইত্যাদি ইত্যাদি। অপর পক্ষ বলছেন, চলচ্চিত্রের নামে এই নোংরামি আর কতদিন? একজন নায়ক দিয়ে এফডিসি আর কতদিন? তাদের মতে, ভারতীয় চলচ্চিত্র একটি প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করবে। ফলে এই সুযোগে দেশীয় চলচ্চিত্রে একটা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে। আমি উভয় মতকেই শ্রদ্ধা জানাই। তবে লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, উভয় পক্ষই একটি বিষয়ে একমত আর তা হল উভয়ই বাংলা চলচ্চিত্রের উন্নয়ন চায়। এখন দেখার বিষয়, চলচ্চিত্র আমদানি করে বা না করে কিভাবে এই আমাদের দেশের প্রায়-বিলুপ্ত প্রজাতির এই শিল্পটাকে টিকিয়ে রাখা যায়।
ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানি কিভাবে আমাদের এই শিল্পের উন্নয়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে, সে হিসেব মেলাতে গিয়ে আমি এখনো কোন উপসংহার এ আসতে পারি নি। আমাদের একটি বিষয় বুঝতে হবে, ‘প্রতিযোগিতা’ বিশেষত চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের একমাত্র মাপকাঠি নয়। যেটি হয়ত আমরা বারবার বুঝতে ভুল করছি। কথা হল, প্রতিযোগিতা কাদের মধ্যে সম্ভব? এক কথায় বললে, যাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করার মত ক্ষমতা আছে। অর্থাৎ, অর্থ এবং অবকাঠামো উভয় দিকে দিয়ে যারা একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় আছে। তাহলে প্রশ্ন হল, বাংলাদেশ আর ভারতের মধ্যে কি এই অসম প্রতিযোগিতা আদৌ সম্ভব? যে দেশে একটি মাত্র নায়ক দিয়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি চলে, সেই দেশ কি ভারতের মত শক্তিশালী চলচ্চিত্রের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে? যে দেশে একটা মুমূর্ষু ইন্ডাস্ট্রি খুড়িয়ে খুড়িয়ে বছরের পর বছর চলে, যে দেশে স্বাধীনতা অবধি আজ পর্যন্ত একটি ফিল্ম ইনস্টিটিউট গড়ে উঠতে পারল না, যেখানে দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রির যথেষ্ট অভাব, সেই দেশ করবে প্রতিযোগিতা?
সারা বিশ্বে আজ যখন ডিজিটাল চলচ্চিত্রের জয়জয়কার অবস্থা, তখন এদেশে ডিজিটাল চলচ্চিত্র প্রচারের অনুমতি মেলে না। তারেক মাসুদের মত পরিচালকদের সিনেমা ফেরি করা লাগে। সেই দেশ করবে প্রতিযোগিতা?
আমার কাছে একটি বিষয় রহস্যময় বলে মনে হয়, ভারত আমাদের থেকে তাদের দেশে কোন সিনেমা আমদানি করবে না। কিন্তু তারা আমাদের দেশে ঠিকই সিনেমা রপ্তানি করবে। এটা কি এক তরফা চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্ত নয়? আমার জানা মতে, আমাদের দেশে ভারতের প্রায় ৫০টির মত টিভি চ্যানেল চলে। কিন্তু ভারতে আমাদের কয়টি চলে? একটিও না। এখন আপনারাই বলেন, এভাবে কি প্রতিযোগিতা হয়? আমাদের মত একটি স্বাধীন মর্যাদাশীল রাষ্ট্রের কী এই নমনীয়তা শোভা পায়?
আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, ধরুন বলাকা-১ এ আমির আর কারিনার “3 idiots” চলছে। আর বলাকা-২ এ চলছে সাকিব খান এর “প্রিয়া আমার প্রিয়া”। আপনি কোনটি দেখবেন? “3 idiots” নয়? শুধু আপনি নন, আমি হলেও এটিই করতাম। কারণ কেউ কি কারিনার ‘জিরো ফিগার’ বাদ দিয়ে বাংলা সিনেমার সেই চির চেনা ‘চৌধুরী সাহেবের আদরের দুলালীকে’ দেখতে যাবে?
হল মালিকদের কে বলছি, স্বাধীনতার পর আমাদের দেশে ১৪৩৫ টি প্রেক্ষাগৃহ ছিল। এখন সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৬০৮টি তে। সিনেমা হলগুলোর অবস্থা ভয়াবহ। ছারপোকার কারণে বসে সিনেমা দেখা যায় না। চেয়ারগুলো ভাঙ্গা, সিগারেটের গন্ধ, টয়লেটগুলো অপরিস্কার, এসব অভিযোগগুলো কি হল মালিকরা অস্বীকার করতে পারবেন? টিকিট ব্লাক এ বিক্রি এখন নিয়মিত ঘটনা। কার এমন দায় পড়েছে এত ঝক্কি ঝামেলা মাথায় নিয়ে হলে গিয়ে সিনেমা দেখবে। এসব দায় কি পরিবেশকরা এড়াতে পারে?
তাছাড়া গ্লামার, বাজেট, সংখ্যা সব দিক দিয়েই ভারত আমাদের থেকে কমপক্ষে ২০ বছর এগিয়ে। আমরা কি পারবো এই দৌড়ে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে?
তাহলে শেষ পর্যন্ত যে প্রশ্নটি দাঁড়ায় তা হল, বাংলা চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে আমাদের কি করণীয়। এক্ষেত্রে আমি কিছু প্রস্তাব রাখতে চায়। আমি বিশ্বাস করি যে কোন দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এই পদক্ষেপগুলো জরুরী।
১। এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরী হল, সরকারিভাবে একটি কমিটি দাড় করানো, যাদের মূল কাজ হবে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাগৃহগুলোকে রক্ষণাবেক্ষন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিকরণ এবং বন্ধ হলগুলোকে পুণরায় চালু করার ব্যাবস্থা করা।
২। দেশে অতিসত্ত্বর ডিজিটাল চলচ্চিত্র প্রচারের ক্ষেত্রে যাবতীয় বিধি নিষেধ তুলে নেয়া এবং প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে ডিজিটাল সিনেমা প্রদর্শনের ব্যাবস্থা করা। এক্ষেত্রে, হলগুলোতে প্রজেক্টর স্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে। কারণ যে সিনেমাটি ফিল্ম ফরম্যাটে তৈরী করতে ১ কোটি টাকা লাগে, সেই একি সিনেমা ডিজিটাল ফরম্যাটে লাগে খুব বেশি হলে ৩০ লক্ষ টাকা। ফলে, চলচ্চিত্র নির্মাণ খরচ কমবে। আয়ও বাড়বে।
৩। আমি মনে করি, যারা মূলধারার (এফডিসি) চলচ্চিত্র নির্মাণের সাথে জড়িত, তারা যথেষ্ট দক্ষ। শুধু এখন প্রয়োজন আমাদের চিরাচরিত গল্পের ধারা থেকে বেড়িয়ে আসা। গল্পে একটু ভিন্নতা আনতে পারলেই কেল্লা ফতে। নিশ্চিত ব্যবসা সফল। মনপুরা সিনেমাটি এক্ষেত্রে একটা ভাল উদাহরণ হতে পারে। কেননা এই ছবি নিয়ে প্রদর্শকদের কান্না কাটি করতে হয়নি।
৪। দেশের প্রেক্ষাগৃহে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ক্ষেত্রে সে সব বিধিনিষেধ আছে, তা বাতিল অথবা শিথীল করতে হবে। আমার জানা মতে, এফডিসি’র পরিচালক সমিতির সদস্য হও, পরিবেশক সমিতির সদস্য হও ইত্যাদি ইত্যাদি। ইদানীং শুনছি কিং খানের কাছ থেকেও নাকি কি সব অনুমতি লাগে। আমি চায়, সকলেই তার নিজ ছবি প্রচারের জন্য সমান সুযোগ পাক। অর্থাৎ প্রতিযোগিতা হবে, তবে সেটি আমাদের মধ্যে। এতে করে চলচ্চিত্রের প্রকৃত উন্নয়ন বলতে যা বোঝায় তা অর্জন সম্ভব হবে।
৫। যারা তরূণ চলচ্চিত্র নির্মাতা, তাদেরকে মূলধারার চলচ্চিত্রে প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে। এতে করে সিনেমাতে প্রফেশন্যালিজম বলতে যা বুঝায়, তা অর্জন করা সহজ হবে।
৬। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও, আমরা একটি আন্তর্জাতিক মানের ফিল্ম ইন্সটিটিউট তৈরী করতে পারিনি। চলচ্চিত্রের জন্য এর চেয়ে দুঃখজনক কথা আর কি হতে পারে। কিন্তু ভারতে পূনে, সত্যজিত রায় ফিল্ম ইন্সটিটিউট এর মত অনেকগুলো আন্তর্জাতিকমানের ফিল্ম ইন্সটিটিউট তৈরী হয়েছে। এগুলো বাদ দিয়ে যারা ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানি করে আমাদের চলচ্চিত্রের উন্নয়নের দিবা স্বপ্ন দেখেন, তাদের মস্তিষ্ক নিয়ে আমার প্রশ্ন জাগে।
৭। রূপ থাকলেই যে অভিনেতা হওয়া যায়, বাংলাদেশের চেয়ে ভাল উদাহরণ দুনিয়াতে আর বোধ হয় নেই। এখানে প্রতিদিন টিভি খুললেই নানা রঙ্গের, নানা ঢঙ্গের অভিনেতা মেলে। অভিনয় জানুক বা না জানুক তারা অভিনেতা। ক্যামেরার সামনে আসার জন্য অভিনয় জানা লাগে না, হয়ত পরিচালক বা প্রযোজক এর সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কের খাতিরেই অভিনয়ের টিকিট মেলে। এই ধরনের বাজে অভিনেতাদের জন্য যে চলচ্চিত্র মার খাচ্ছে তা অনেকেই বুঝতে চান না। তাই অভিনয় শেখার জন্য আরো ভাল মানের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে।
একবার ভাবুনতো, আজ যদি দেশের সিনেমা হলগুলোতে ডিজিটাল সিনেমা প্রদর্শনের ব্যাবস্থা থাকত, তাহলে কি তারেক মাসুদ, তানভীর মোকাম্মেল আর মোরশেদুল ইসলামের মত পরিচালকদের ফেড়িওয়ালা হতে হত? আর হল মালিকদের কি মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে হত। আমিতো কখনও স্টার সিনাপ্লেক্স কে দর্শক এর অভাবে কান্না কাটি করতে শুনিনি।
সবশেষে একটি অনুরোধ, আমার লেখার শক্তি সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। আমি জানি আমার লেখা ভারতীয় চলচ্চিত্রের এই আগ্রাসীভাব ঠেকাতে পারবে না। আমি শুধু লেখার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছি। তবে অনুরোধ, দয়া করে কেউ কখনো হলে গিয়ে ভারতীয় ছবি দেখবেন না।
অতিথি লেখক শোয়াইব সৈনিক একজন নবীন ব্লগার। বাংলাদেশী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে একজন ভাগীদার হবার ব্যাপারে তিনি আগ্রহী।
41 মন্তব্যসমূহ
আপনার এই পোস্ট পড়ে খুব ভাল লাগল। আমিও আপনার পক্ষে...... ভারতীয় চলচিত্র আমদানী করা বন্ধ করা উচিত......... আমাদের নিজেদের চলচিত্র শিল্প সম্পর্কে আরও সচেতন হতে হবে......
উত্তরমুছুনমন্তব্যের উত্তর দেবে শোয়াইব সৈনিক। আমি জানাই স্বাগতম, দারাশিকোর ব্লগে :)
উত্তরমুছুনএই যাত্রা চলুক অনেকদূর, অনেক দিন :)
অনেক ধন্যবাদ এই বিষয়টি নিয়ে এত সুন্দরভাবে গবেষনার জন্য।
উত্তরমুছুনভারতীয় সিনেমা এদেশের শিল্ল জগতের জন্য বিপদসংকেত স্বরূপ। কিন্তু হল গুলোর মালিকদের দিকে তাকালেও খারাপ লাগে। অনেকগুলো সিনেমা হল এখন বন্ধ হয়ে আছে। আর এভাবে চলতে থাকলে বাকীগুলোর অবস্থাও করুন হয়ে যাবে। তবে ইদানিং যে সিনেমাগুলো ভারত থেকে আনছে দেখলাম (পোষ্টারে) সেগুলোর নাম-ই শুনিনি ! যদি একান্তই বাধ্য হয়ে আনতে হয় তো নামকরা সিনেমাগুলো আনুক। না হলে আগে যে অবস্থা ছিল তার কোন পরিবর্তন হবে না। আমার বন্ধুদের মধ্যে এমন কাউকে পেলাম না যে এই "জোর" সিনেমা হলে গিয়ে দেখার মত মানসিকতা রাখে।
there's a saying in Economics "feed the baby, nurture the child and free the adult". Does the government think our film industry is ready enough to compete?? or they are selling their soul to some entity??
উত্তরমুছুনভারতীয় চলচ্চিত্রের হাত থেকে বাঁচতে হলে, আমাদেরকে তৈরী হতে হবে। এর বিকল্প কোন পথ আমি দেখি না। ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনসম্ভবত শেষেরটা ঠিক। দিন সবারই একদিন আসে, সেই দিনের অপেক্ষায়। ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুননিজের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমাদের ডিপার্ট্মেন্টে একজন স্যার ছিলেন, উনি এক কোম্পানীতে চাকরি করতেন। একবার তাদের একটা মেশিন নষ্ট হয়ে যায় (অটোমেটিক বা রোবোটিক এর সিম্পল একটা ডিভাইস - পিএলসি বেইজড)। উনি তাদেরকে প্রস্তাব দিলেন যে, কাজটা খুব সহজ- উনি নিজেই ঠিক করে দিতে পারবেন। কোম্পনীর অথরিটি বল্লো অনেক দামি জিনিস, উনাকে দিয়ে ঠিক করানোটা অনেক বড় রিস্ক, তারা ২৫ লাখ টাকার মত চার্জ দিয়ে বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে সেটা ঠিক করলেন। স্যার চেয়ে চেয়ে দেখলেন- আধা ঘন্টার একটা খুব সহজ কাজ, এত টাকা খরচ করতে হলো বিদেশিদেরকে দিয়ে। আমাদের সেই স্যার এখন জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটির প্রফেসর, আর জাপান রোবোটিক রিসার্চ এসোসিয়েশনের মেম্বার।
উত্তরমুছুনপ্রতিভা বাংলাদেশেরও আছে, কিন্তু সেটাকেতো সু্যোগ দিতে হবে, সাহস দিতে হবে। নিজের দেশের সিনেশিল্পকে কোনো কিছু না দিয়েই সরকারের মনে হলো যে এটাকে উন্নতি করতে হলে বাইরের সিনেমা আমদানি করতে হবে, ঠ্যালা খেয়ে সিনেমাওয়ালারা ভালো মুভি বানাতে বাধ্য!!! জিনিসটা অনেকটা এরকম মনে হচ্ছে আমার কাছে- ক্লাস টু'তে পড়া এক বাচ্চাকে ক্লাস ফোরের বই দিয়ে বলা হলো পাশের বাসার ক্লাস ফোরে পড়া ছেলেটার কালকে পরীক্ষা, তোমাকেও সেই পরীক্ষা দিয়ে ফার্স্ট হইতে হবে।
ভাই... মনে আছে, ৯১-৯২ সালের দিকে বিটিভিতে শুক্রবার দুপুর বেলা বাংলা পুরানো মুভিগুলা দেখাইতো, আর শনিবার দেখাইতো "মুভি অব দা উইক"-এ বিদেশি মুভি। এখন সরকারগুলোর মধ্যে আছে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে হলেও প্রতিবেশির সাহায্য করতে হবে এই মানসিকতা। রিসেন্ট কয়কটা ঘটনা দেখলেই এটা পরিষ্কার হয়ে যায়। আর ফিল্ম আর্কাইভ যা আছে তারাতো মনে হয় ফ্রিজ পাহারা দিয়াই তাদের দায়িত্ব শেষ মনে করে।
http://www.dw-world.de/dw/article/0,,15626467,00.html
উত্তরমুছুনboss moner kotha bolsen....apnake dhonnobad
উত্তরমুছুনআপনার কথা ঠিক। তবে শুধু বাংলা সিনেমাই নয়। ইতোমধ্যে হিন্দী চলচ্চিত্র আমদানির জন্যও এলসি খোলা হয়ছে। পত্রিকা মারফত জানলাম, প্রথম দিন নাকি দর্শক পায় নাই। তারপর কি হচ্ছে জানি না। ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনপুরোপুরি একমত। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে?
উত্তরমুছুনজ্বী বস। ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনআর নীতিমালা !!!!!!!!!
উত্তরমুছুনচল্লিশ বছর protected market পেয়েও সাবালক হতে পারলেন না।আরো সুযোগ চাই?
উত্তরমুছুনপ্রিয় আরশাদ, সুযোগ তো চাই-ই। সেজন্যই এই পোস্ট।
উত্তরমুছুনকিন্তু আপনার কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে, যেহেতু ৪০ বছরে সাবালকত্ব পায় নাই সেহেতু একে গলা টিপে মেরে ফেলা হোক।
সিনেমা শিল্পের জায়গায় আপনার একটি সন্তানকে ভেবে দেখুন। সঠিক সময়ে তার সাবালকত্ব না আসলে কি আপনি তাকে মেরে ফেলবেন? অন্য কোন বাড়ী থেকে আরেকটি সুস্থ্য সন্তানকে নিয়ে আসবেন? জানি না
এই আমরা ৪০ বছরের নাবালকত্ব থেকে মুক্তির জন্য নানাবিধ রাস্তা দেখিয়ে দেবার চেষ্টা করছি, গলা টিপে হত্যার রাস্তা নয়। ওপেন মার্কেট যদি এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে আরও সমৃদ্ধশালী করতো তবে আমরাই সমর্থন করতাম। হয়তো এ ব্যাপারে আপনার কোন যুক্তি আছে, সেগুলো একটু শেয়ার করলে বুঝতে সুবিধা হতো। ধন্যবাদ আরশাদ।
দারাশিকোর ব্লগে স্বাগতম আপনাকে :)
Apnar Lekhati Khub valo hoyece ,
উত্তরমুছুনkintu Government jehetu Import korbe tik korece tobe tara eta korbey ( jaha Iccha taha korbo - janogon amader Manded dice )..
Ki r bolben bhai sovai eki rakom.
Akta Kaj kora jay - Indian Film Import ke 1ta Pilot-Project hesebe korte pare ( 5-10 year)..
Tarpor Off .. not for Life time..
দারাশিকো ব্লগে স্বাগতম আলো।
উত্তরমুছুনআমদানী শুরু করেছে কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমানা প্রণয়ন ছাড়াই। বছরে কটা সিনেমা আসবে, সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি কিন্তু।
যেহেতু সিনেমা আমদানী শুরু করেছে এবং বন্ধ হবার কোন সম্ভাবনাই নেই, তাই এখন সরকারকে বাধ্য করা উচিত বাকী দাবীগুলো পূরণে এগিয়ে আসা। এবং এটা এই সরকারের বাকী মেয়াদকালের মধ্যেই :)
এটা আমার মত, লেখকের ভিন্ন মত থাকতে পারে ।
দারাশিকো ভাইয়ের সাথে পুরোপুরি একমত।
উত্তরমুছুনALO @ হতে পারে। তবে আমার বিশ্বাস হয় না।
উত্তরমুছুনthanx brother.
উত্তরমুছুনhttp://t.co/XyMMNjrk
আপনাকেও।
উত্তরমুছুনValo laglo aponer chinta dhara. Kintu amar mone hoi duakta cinema hol dorker j khane world er sob nami dami cinema sobsomoy chole. R amader shilper unnooyoner jonno amader jonomot gothoner proyojon. Bikolpo dharar cinema gulo kintu thik e jonopriota paisa. amader film industry r uchit cinemar bajet bajet barano. I like ur comments..
উত্তরমুছুনদারাশিকো ব্লগে স্বাগতম মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া :)
উত্তরমুছুনএর আগে গত ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় ছবি আমদানি ও প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের অনুমতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি নীতিমালায় এ বিষয়ক বিধিনিষেধ তুলে নেয়। কিন্তু দেশীয় চলচ্চিত্রের পরিচালক-প্রযোজক ও শিল্পী কলাকুশলীদের আন্দোলনের মুখে সরকার ভারতীয় ছবি আমদানির ওপর পুনরায় বিধিনিষেধ আরোপ করে।সরকারের এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমদানিকারক ও প্রদর্শকরা উচ্চ আদালতে রিট আবেদন জানান। আদালতের নির্দেশে উল্লেখিত সময় যেসব ছবি আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয় সেসব ছবিকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ও তথ্য মন্ত্রণালয় অনাপত্তিপত্র দেয়। এই অনাপত্তিপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ‘জোর’, ‘সংগ্রাম’ ও ‘বদলা’ নামের তিনটি ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানি করা হয়। ছবি তিনটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়েছে। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেলেই এ তিনটি ছবি বাংলদেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনে বাধা-নিষেধ থাকবে না। এই তালিকায় রয়েছে আরো নয়টি ভারতীয় ছবি। এসবের মধ্যে আছে বলিউডের সুপারহিট ছবি সোলে, দিলওয়ালা দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে, দিল তো পাগল হ্যায়, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, কাভি খুশি কাভি গম, ধুম-২, ডন, ওয়ান্টেড ও থ্রি ইডিয়টস। প্রেক্ষাগৃহে এভাবে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিরোধিতা করে আবারও আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি সহ চলচ্চিত্রাঙ্গনের কলাকুশলীদের অন্যান্য সংগঠন। (কার্টেসী অফ কল্লোল মোস্তফা-দ্রোহ।নেট)
উত্তরমুছুনএখন বুঝেন, সরকার চলচ্চিত্রের উন্নয়ন করতে বদ্ধপরিকর, তাই ভারতীয় সিনেমা আমদানি করবেই। কিন্তু ফিল্ম ইন্সটিট্যুট, কারিগরী উন্নয়ন এগুলাকে তাদের ধর্তব্য মনে হয় না। এখন বলেন... বিড়াল্টা কি আসলেই বিড়াল নাকি গন্ডার?
তবে আমার মনে হয়... আগে আমরা জনগণই যদি এইটা না খাই (ভারতীয় সিনেমা) তাহলে কিছুটা টনক নড়বে। আর আমরাই পারি বাংলা মুভিগুলোকে প্রমোট করতে এসময়। আমি যেমন নিজে একটা বাংলা মুভি ডাউনলোড করার পরে বন্ধুদেরকে দেখাই, ভাইগ্না-ভাতিজাদেরকে দেখাই। যারা ম্যানিয়াক টাইপের মুভিখোর (দিনে ৩-৪টা মুভি দেখা লাগে, আমিও এর মধ্যে ছিলাম, এখন কম দেখি), প্রতিদিন একটা বাংলা মুভি দেখবো এই টার্গেট রাখি। মিনিমাম সপ্তাহে একটা... ভালো লাগ্লে শেয়ার করি বন্ধুদের সাথে... বিন্দু বিন্দু করেই আগাই...
কালকে দেখলাম স্বপ্নডানায় (২০০৭) আর নিরন্তর (২০০৬)... কই, মনে তো হয়নাইযে শিল্পগুণবিচারে খুব একটা খারাপ ছবি, শুধু মনে হইছে ক্যামেরার কোয়ালিটি খারাপ। আমি বারবার বলবো... আমাদের প্রতিভা ঠিকই আছে...শুধু পৃষ্ঠপোষকতা দরকার।
উত্তরমুছুনআমি এ ব্যাপারে একমত। সিনেমা হলগুলোতে এই মুহূর্তে এক্সেস পাওয়া কঠিন। জনমত গঠনের জন্য আমাদেরকেও সিনেমা ফেরি করতে হবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনবিড়াল্টা কি আসলেই বিড়াল নাকি গন্ডার? - হা হা হা, দারুন বলছেন বস। আপনারে ভালো পাই :)
উত্তরমুছুনসরকারের টনক নড়ার কোন সম্ভাবনা দেখছি না। যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে সরকার বিষয়টাকে পাত্তাই দিচ্ছে না। আমাদের সচেতনতার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে মানি, কিন্তু নিজেই ভরসা করতে পারি না। ডন২ আসার পরেই হুমড়ী খেয়ে পড়েছে সবাই, সুতরাং হলে হিন্দী সিনেমা আসলে এই চেতনবোধ যে অচেতনতায় রূপান্তর হবে না সে বিষয়ে আমি বেশ সন্দেহবাদী।
স্বপ্নডানার লিংকু টা কি একটু দিবেন বস? দেখতাম চাই :)
http://protivaentertainment.blogspot.com/2011/01/swopnodanay-2007-mediafire-download.html
উত্তরমুছুনযারা ডন ২ দেখতে হুমড়ি খাইয়া পড়ছে তারাই কিন্তু বাংলা মুভি বললে ছ্যাঁ ছ্যাঁ করে। আমাদের দায়িত্ব তাদেররে বাংলা মুভি দেখতে পারস্যু করা। এইভাবেই আগাইতে হবে ভাই। সরকাররে কিছু করার মত ক্ষমতা আমাদের নাই। এসব বুঝলেতো তারা আর শাহরুখের কন্সার্টে গিয়া মাটিতে বসে পড়তোনা।
আফসোস..."১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান (বঙ্গবন্ধু, পরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি) উত্থাপিত বিলের মাধ্যমে পূর্বপাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (ইপিএফডিসি) প্রতিষ্ঠিত হলে এর সহযোগিতায় ১৯৫৯ সালে থেকে প্রতিবছর চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে থাকে।" এইটা যদি আমাদের প্রধান্মন্ত্রী বুঝে নিজের বাপেরে একবার ফলো করতে চাইতেন।
They have no tolerating power to hear different opinion. What they like is right. Many things they implemented in the name of welfare of the nation is undoubtedly detrimental to the interest of our country. Normally An independent country loose freedom in thinking first.
উত্তরমুছুনকথাগুলোর সাথে একমত না হয়ে পারছি না। আসলে সমস্যাতো এটাই। সরকারের কার্যক্রম ও সিদ্ধান্তগুলোতে জনগণের চিন্তার প্রতিফলন ঘটে না। এ ব্যাপারে জনগণকে ভাবতে হবে।
উত্তরমুছুনশনিবার মুভি অবদা উইক দেখানো শুরু হয় ২০০১ সালে ৯১-৯২ তে নয়! একই সময় আমরা বিটিভির আর্কাইভ নাটক ও দেখতাম!! আমার কাছে ঐ নাটক গুলো জটিল লাগতো.. ৮০ দশকের নাটক গুলোও ছিলো অসাধারণ! সিনেমাগুলোও!! বাংলাসিনেমায় ধ্বশ নামা শুরু করে সালমান শাহ এর পর! ময়ুরী পলি, কলকাতার রিতুপর্ণা এদের মাধ্যমেই আমাদের কাটপিস প্রবেশ শুরু!! যা কিনা ১/১১ তত্যাবধায়কের মাধ্যমে এক্টু কন্ট্রোলে আসে!! কিন্তু যা গেছে সেইটা ফিরিয়ে আনা এত্ত সোজা মনে না হলেও এই পোস্টের লেখা গুলো অনেক রিসোর্সফুল!! বিশেষ করে মেকিং এর ব্যপার গুলো । আমার কিছুদিন মিডিয়াতে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছিলো! যতটুকু বুঝেছি.. মিডিয়ার মাথাগুলো বেশির ভাগই অশিক্ষিত!! তাদের তাড়াতাড়ি টাকা চাই!! এইটার জন্য পার্লে এর পর্ণছবিও ছাড়তে রাজি!! এই ব্যপার গুলোও আমাদের দেখতে হবে।
উত্তরমুছুনvalo laglo lekhata pore. desher buddhijibi der kachh theke temon kichhu shuntesina keno bujhtesina :-S .. shobaike ki kine fela hoye gese already!!!
উত্তরমুছুনদারাশিকো'র ব্লগে স্বাগতম দ্যা রক :)
উত্তরমুছুনদারাশিকো'র ব্লগে স্বাগতম মাস্টার :)
উত্তরমুছুনভাই দা রক... ২০০১ সালের দিকে মুভি অব দ্যা উইক দেখাইতো...৯১-৯২ সালের দিকে না- এইটা আপনি শিওর? মূল বিষয় থেকে সরে গিয়ে এই ছোট্ট ব্যাপারটা নিয়ে কথা না বাড়ালেই কি হতোনা...
উত্তরমুছুন৯১-৯২ সালের কথা ঝাপসা মনে থাকলেও ২০০১সালের কথা বেশ ভালোই মনে আছে। তারপরও...http://www.somewhereinblog.net/blog/raisul_juhala/29438733 - এখানে দেখেন স্বনামধন্য অনেক ব্লগার কি বলেন। আরো দেখেন http://www.sachalayatan.com/maqtanim/22868 । কমেন্টগুলা সহই পড়েন।
আমি আন্তরিকভাবে দারাশিকো ভাই আর শোয়াইব সৈনিক ভাইয়ের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, মূল বিষয়ের বাইরের একটা ফালতু ব্যাপার নিয়ে অযথা ত্যানাপ্যাঁচানোর জন্যে। আমার অজ্ঞতাকে (অথবা একগুঁয়েমীকে)মাফ করে দিয়েন।
মাস্টার ভাই@ এইখানে বুদ্ধী বেচে খাওয়ার সুযোগ খুব কম। তাই হইত কেউ আগায় না।
উত্তরমুছুনভরতিয় বাঙলা ছবি নিজেই অন্ন ছিনেমা অনুকরণ করে। তা বাংলাদেশ এ
উত্তরমুছুনআমদানি করার মানে কি?...
দারাশিকো'র ব্লগে স্বাগতম সাব্বির :)
উত্তরমুছুনভালো থাকুন
"কারণ কেউ কি কারিনার ‘জিরো ফিগার’ বাদ দিয়ে বাংলা সিনেমার সেই চির চেনা ‘চৌধুরী সাহেবের আদরের দুলালীকে’ দেখতে যাবে?"
উত্তরমুছুনWhen talking about 3 Idiots, I'd hardly say, that was the 'attraction' when compared to "Priya Amar Priya".
The status of our movies frustrate me, but the people making those 'lau - kodu' films have done one thing over the years - build their audience, or I might say our educational and social system has built them. Unless we promote education - the kind that broadens people's minds, we can't do much. There will not be an audience for intelligent films. India has that advantage. I think most of the 'lau-kodu' films have some films from the late 80s-early 90s Bollywood (hero saves day, gets girl formulae, with the raping and pillaging villain somewhere in the mix). But if we see look at Bollywood over the years, and also the trend in independent cinema there, they have moved on. We haven't evolved, haven't moved on. A lot of you rightly pointed out, that our cinema needs govt. and non-govt. help, but we also need an audience that wants those films.
অনুরোধ, দয়া করে কেউ কখনো হলে গিয়ে ভারতীয় ছবি দেখবেন না।
উত্তরমুছুনসহমত--
অপরিষ্কার আর ঘোল ফালতু বাংলা ছবি দেখার চেয়ে পশ্চিম বাংলার ভূতের ভবিষ্যৎ দেখা অনেক ভাল । আর আমাদের এখানে ছবির যা কাহিনী আর অ্যাক্ট তাতে টিকিট বিনামূল্যে দিলেও কেউ হলে যাবে না । শুক্র বার atn bangla তে যেসব সিনেমা প্রচার করে তা দেখতে বসলে অ্যাবমিন(বমি ঠেকানোর ঔষধ) নেওয়া লাগে ।
উত্তরমুছুন