Gong Shou Dao: জ্যাক মা, জেট লি, ডনি ইয়েন, টনি ঝা’র শর্টফিল্ম


ছবির দৈর্ঘ্য মাত্র বিশ মিনিট। কিন্তু সেখানে অভিনয় করেছেন জেট লি, ডনি ইয়েন এবং টনি ঝা’র মত বিশ্বখ্যাত মার্শাল আর্ট তারকা অভিনেতারা। আছেন অলিম্পিক গোল্ড মেডালিস্ট বক্সার ঝাউ শিমিং এবং অবসরপ্রাপ্ত সুমো কুস্তিগির আসাশরি আকিনরি। আর আছেন ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা-র প্রধান জ্যাক মা। এত সব তারকার উপস্থিতি যে শর্ট ফিল্মে তার নাম Gong Shou Dao, ইংরেজিতে The Art of Attack and Defense.

এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে চীনে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গোটা বিশ্বের দর্শকের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

মাস্টার মা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় সবুজ গাছের আড়ালে একটি ফটক দেখতে পায় যার গায়ে লেখা ‘হুশান সেক্ট’। এটি মার্শাল আর্টের জন্য বিখ্যাত একটি কাল্পনিক গোত্রের নাম, যারা মাউন্ট হুয়া-তে বসবাস করে। কল্পনায় মাস্টার মা এই গোত্রের বিখ্যাত সব মার্শাল আর্ট মাস্টারদের মুখোমুখি হন এবং লড়াই করেন। অল্প কথায় এই হল গং শাউ দা ছবির গল্প।

ছবির প্রধান চরিত্র আলিবাবা-র প্রধান নির্বাহী জ্যাক মা। চরিত্রগুলোর প্রায় সবাইই নিজেদের নামে অভিনয় করেছেন। অভিনয় ছাড়াও প্রযোজনা করেছেন জেট লি। ফাইট ডিরেক্টর বা অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার হিসেবে ছিলেন দ্য ম্যাট্রিক্স ট্রিলজি এবং কিল বিল ফ্রাঞ্চাইজের ইউয়েন উ-পিং, ইপ মান ফ্রাঞ্চাইজের ছবির সামো হাং এবং সোর্ডসম্যান ছবির চিং সিউ-তাং। ফলে এটা স্পষ্ট যে, এই ছবির লড়াইয়ের দৃশ্যগুলো তৃপ্ত করবে।

View post on imgur.com

এই ছবিটি নির্মাণ করেছে আলিবাবা গ্রুপ। কেন নির্মাণ করা হয়েছে তার জবাবে জ্যাক মা এবং জেট লি দুজনেই বলেছেন চীনের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, বিশেষ করে ‘তাই চি’ (এক ধরনের মার্শাল আর্ট) কে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্যই অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই ছবিটি নির্মান করেছেন। তবে ছবির প্রধান কলাকুশলীবৃন্দ, বিশেষত: অভিনেতাগণ, মার্শাল আর্টের প্রতি ভালোবাসা থেকে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেছেন।

তবে এর আরেকটি অপ্রকাশ্য কারণও রয়েছে। তা হল আলিবাবা গ্রুপের প্রচারণা। ছবিটি প্রথম প্রদর্শন করা হয় ডাবল ইলেভেন গালা নামে আলিবাবা গ্রুপের একটি অনুষ্ঠানে। সারা বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ অনুষ্ঠানটির দর্শক ছিল। পরবর্তীতে অনলাইন স্ট্রিমিং চ্যানেলে ছবিটি দেখেছে শত কোটি মানুষ। এমনকি ছবিটি সিনেমাহলে ফ্রি-তে দেখার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছিল।

উদ্দেশ্য যেহেতু প্রচারণা, তা সে আলিবাবা গ্রুপের হোক বা চীনের সংস্কৃতি, গল্পটা মুখ্য হয়নি। অভিনয়টাও নয়, তবে অ্যাকশন নির্ভর ছবি দেখতে কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না। সময় থাকলে দেখে ফেলুন।

তথ্যসূত্র :
১। উইকিপিডিয়া
২। ডেইলি টেলিগ্রাফ
৩। আলিজিলা

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *