
দ্য লাস্ট ঠাকুর সিনেমার গল্পটা থ্রিলার, নির্মানটা ওয়েস্টার্ন ঘরানার। কোন একদিন দৌলতপুর নামের এক জায়গায় ভোরবেলায় এক তরুন ছেলে এসে হাজির হয়, তার হাতে একটা থ্রি নট থ্রি রাইফেল। তার সাথে একটা জন্মসনদ, সেখানে তার মায়ের নাম লেখা মনোয়ারা, বাবার নাম মুছে গেছে - আছে শুধু দুটো শব্দের প্রথমাক্ষর - অ এবং র। দৌলতপুর এলাকায় তিন প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে দ্বন্দ্ব। একদিকে আছে চেয়ারম্যান, অন্যদিকে আছে ঠাকুর। আর আছে সাইফুর রহমান। মূল দ্বন্দ্বটা ঠাকুর আর চেয়ারম্যানের মধ্যে - সাইফুর রহমান সুবিধাবাদী। বন্দুক হাতে নিয়ে যে যুবকটি ত্রিশ বছর আগের মনোয়ারা নামের একটি মহিলা সম্পর্কে খোজ করছে সে কোন পক্ষের লোক, কি তার পরিচয়, কেন সে খোজ করছে - এরকমই কতগুলো প্রশ্ন নিয়ে দ্য লাস্ট ঠাকুর সিনেমা।
ঊননব্বই মিনিটের এই সিনেমায় তেরো ঘন্টার কাহিনী দেখানো হয়েছে। সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সিনেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উত্তেজনাময়। সাদিক আহমেদ একজন সিনেমাটোগ্রাফার এবং এই সিনেমায় তিনিই ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফি। সে কারণেই হয়তো, সিনমার গল্পের চেয়ে সিেনমাটোগ্রাফি বেশ ভালো গুরুত্ব পেয়েছে। চিত্রায়নটা এমনই সুন্দর এবং নান্দনিক যে মনেই হয় না দেশে চিত্রায়িত। একটা ধোয়াটে ভাব পুরো সিনেমাতেই - কাহিনীর সাথে বেশ ভালোই খাপ খায় এই দৃশ্য। যতটুকু জেনেছিলাম - একে মিস্ট ফটোগ্রাফি বলা হয়েছিল। নির্মানের সময় বাংলাদেশে শীতকাল এবং নির্মাতারা প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল দশ/এগারোটা পর্যন্ত শ্যুট করেছেন এই ধোয়াটে ভাব বজায় রাখার জন্য। আরও জেনেছিলাম, এই সিনেমার চিত্রায়ন সম্পূর্ণই এইচডিভি-তে। ২০০৭/০৮ এ এইচডিভি খুব জনপ্রিয় ছিল না। চিত্রায়নের আরেকটি গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার হল - টেলি লেন্সের প্রয়োগ। সম্ভবত সম্পূর্ণ সিনেমাটাই টেলি লেন্সে শ্যুট করা। এতে পাবলিক প্লেসের দৃশ্যগুলো খুব বাস্তবসম্মত হয়েছে, আশে পাশের সাধারণ মানুষ কেউ ক্যামেরা বা চরিত্রের উপস্থিতিকে লক্ষ্য করে নাই। কিন্তু যে দৃশ্যগুলোতে নরমাল লেন্স ব্যবহার করলেই বেশী ভালো লাগতো, সেখানে কেন টেলি লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে তা বোধগম্য হয় নি। হয়তো নরমাল লেন্স ব্যবহার করা হলে ওই অংশগুলো আরও ভালো হত।
দ্য লাস্ট ঠাকুর সিনেমায় বন্দুকধারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানভীর হাসান। লম্বা চুলে, গায়ে চাদর এবং হাতে বন্দুক নিয়ে চরিত্রটা যতটা আকর্ষনীয়, ততটা গভীর নয়। অভিনয়ের কোথাও কোথাও সে চমৎকার কিন্তু কোথাও কোথাও বেশ অপটু। ঠাকুর চরিত্রে তারিক আনাম, এবং তার সহযোগী অন্ধ চরিত্রে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বেশ চমৎকার অভিনয় করেছেন। একই কথা প্রযোজ্য, চেয়ারম্যান চরিত্রে আহমেদ রুবেলের জন্যও। কিন্তু চেয়ারম্যান চরিত্রটি কেন তার স্ত্রী কাছে ভেজা বেড়াল তা খুব একটা ফুটে উঠেনি। বাস্তবতার নিরিখে এই সিনেমাকে বিচার করলে অনেক প্রশ্ন জাগবেই, কিন্তু বাংলাদেশে ওয়েস্টার্ন ঘরানার সিনেমা হিসেবে দেখলে বেশ চমৎকার। সাদিক আহমেদ তার অভিনব্ত্ব শুধু সিনেমাটোগ্রাফিতেই নয়, সিনেমার ধারা বর্ণনার জন্য চায়ের দোকানের কিশোর ওয়ারিসকে বেছে নেয়াতেও প্রকাশ পায়।
১৯৭৭ সালে বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করা সাদিক আহমেদ ব্রিটেনের ন্যাশনার ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন। ২০০৭ সালে তার পরিচালনা এবং চিত্রায়িত ডকুমেন্টারী 'তানজু মিয়া' বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শন এবং পুরস্কার জেতার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। তানজু মিয়া সিনেমাতেও ধারা বর্ননা করেছে ৬-৭ বছরের এক বালক। সম্ভবত তাকে নিয়েই গল্প আবর্তিত। (http://vimeo.com/7008239 )
Tanju Miah from Michael Ho on Vimeo.
দ্য লাস্ট ঠাকুর সিনেমাটি এখন পর্যন্ত ৮২টি দেশে প্রদর্শিত হলেও বাংলাদেশে এখনও প্রদর্শিত হয় নি। সাদিক আহমেদের এক সাক্ষাতকার থেকে জানা গেল - ইমপ্রেস টেলিফিল্ম সিেনমাটির স্বত্ব কিনে নিয়েছেন। এটা ২০১১ সালে ডিসেম্বরের কথা, এখনও দেশে প্রদর্শনের ব্যাপারে ইমপ্রেসের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য জানা যায়নি। তাই বলে সাদিক আহমেদ বসে নেই। শোনা যাচ্ছে তিনি তার নতুন সিনেমা নির্মানে হাত দিয়েছেন - নাম 'কিং অব মিরপুর'। সিনেমায় কোলকাতার রাহুল বোস ও কঙ্কনার অভিনয় সম্ভাবনাও রয়েছে। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম দেশের সিনেমা হলগুলোতে দ্য লাস্ট ঠাকুর প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের সবাইকে একটা ভালো এবং ভিন্ন স্বাদের সিনেমা দেখার সুযোগ করে দেবেন এই আশাবাদ, সেই সাথে তার নির্মিতব্য সিনেমার জন্য শুভকামনা।
তথ্যসূত্র:
১. দ্য লাস্ট ঠাকুর - সমকাল
২. ‘দ্য লাস্ট ঠাকুর’-এর পর ‘কিং অব মিরপুর’অভিনয় করবেন কঙ্কনা ও রাহুল - বিজয়নগর
৩. আইএমডিবি
28 মন্তব্যসমূহ
ছোট খাটো অনেক বিষয় তুলে ধরেছেন।নান্দনিকতায় হয়তো এই মুভি অসাধারণ।কারণ মুভিটা ফেস্টিফ্যালের জন্যই বানানো হয়েছিলো শুধু।কিন্তু যদি আমরা বাণিজ্যিক ভাবে দেখতে যাই হয়তো অনেকেই এটা বুঝবে না।তাই হয়তো ইমপ্রেস দিচ্ছে না এখন বাংলাদেশে মুক্তি।
উত্তরমুছুনমাহদী হাসানের আপলোড করা ইউটিউবের তিনশ মেগাবাইটেরটা নামাইলাম। বেচারা সাড়েসাতশ' এমবি'র আরেকটা রীপ আপলোড করসিলো মিডিয়াফায়ারে, ডাউনলোড করতে যাবার আগেই ব্যান্ডউইডথ লিমিট এক্সিডেড :P দেখি কেমন হলো। ভালো একটা রীপ পাইলে লিঙ্ক দিও যেহেতু এইটার ডিভিডি এখনো দেশে নাই।
উত্তরমুছুনদেখতে হচ্ছে! লিঙ্ক দেন... ইম্প্রেস এর আশায় থেকে লাভ নাই... আমাদেরকে ইম্প্রেস করার তাদের কোন আগ্রহ নাই... :S
উত্তরমুছুনকাহিনী টা খুবই দুর্বল লাগছে।
উত্তরমুছুনগল্পে নানা রকম গলদ আছে কিন্তু আমি উপেক্ষা করে গেছি একটা কারনেই - সিনেমাটা যেন দর্শক না হারায়। আর এই গলদ সবার চোখে পড়ার মত নয়।
উত্তরমুছুনসাদিক আহমেদ আরও ভালো কাজ করুক, সেই শুভকামনা। ধন্যবাদ পুশকিন :)
ইমেইল অ্যাড্রেস দেন, একটা টরেন্ট ফাইল পাঠাই।
উত্তরমুছুনএইটা সাতশ মেগাবাইট, বোধহয় একটু ভালো হবে।
ইউটিউব তো উপরেই দেয়া আছে। আরেকটা লিঙ্ক সামু ব্লগে সার্চ দিলেই পাবেন আশা করছি :)
উত্তরমুছুনকাহিনী যে খুব ভালো হয় নাই, অবাস্তবতা বেশ ভালো মাত্রায় আছে সেটা জানি। কিন্তু এই ধরনের সিনেমা দেখার সময় বাস্তবতা নিয়ে খুব মাথা ঘামায় না দর্শকরা। তাছাড়া, সিনেমাটা মুক্তি পাবার আগেই দর্শককে নিরুৎসাহিত করা আমার কম্ম না। তাই কিছু বলি নাই ..
উত্তরমুছুনমাহদী হাসান ভাইয়ের কল্যানে দেখলাম।
উত্তরমুছুনসাদিক আহমেদ একজন সিনেমাটোগ্রাফার এবং এই সিনেমায় তিনিই ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফি। সে কারণেই হয়তো, সিনমার গল্পের চেয়ে সিেনমাটোগ্রাফি বেশ ভালো গুরুত্ব পেয়েছে। চিত্রায়নটা এমনই সুন্দর এবং নান্দনিক যে মনেই হয় না দেশে চিত্রায়িত। একটা ধোয়াটে ভাব পুরো সিনেমাতেই – কাহিনীর সাথে বেশ ভালোই খাপ খায় এই দৃশ্য।
সহমত
কাহিনীর গভীরতা আরেকটু বেশি হলে দারুন একটা সিনেমা হয়ে যেত।
নাজমুল ভাই আইএমডিবি এর লিঙ্ক টা ঠিক করেন । :)
উত্তরমুছুনThank you. Torrent file-ter link ki mail kora jabe?
উত্তরমুছুনওই মিয়া, আমার আইডিতো তোমার জানারই কথা!
উত্তরমুছুনযাইহোক, টরেন্টের লিঙ্কটা দেও, একটু ভালো প্রিন্ট দেখি।
আইডি - quyyum@msn.com
Sent.
উত্তরমুছুনWelcome to Darashiko's Blog Faruq :)
Keep coming
পাটিয়ে দিয়েচি চ্যার :)
উত্তরমুছুনহক কথা বলেছেন রুশো ভাই। ভদ্রলোক তার সিনেমাটোগ্রাফির দিকে যত নজর দিয়েছেন তত নজর কাহিনীর দিকে দেন নাই। সামনের সিনেমায় তিনি এটা কাটিয়ে উঠবেন আশা করি :)
উত্তরমুছুনভালো থাকুন সবসময় :)
ইচ্ছে করেই লিঙ্কটা দেই নাই - কারণ শুধু সিনেমা থেকে সাহায্য নেই নাই, পরিচালক, অন্যান্য সিনেমা ইত্যাদি ইত্যাদি রয়েছে। ধন্যবাদ সাজিদ :)
উত্তরমুছুনপাইলাম, থ্যাঙ্কুস :D
উত্তরমুছুনসিনেমার চেয়েও সিনেমার পরিচালক এবং তার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে অবাক হলাম...।দেশ ত্যাগ করেছেন অনেক আগে কিন্তু সিনেমার প্লট দেশের উপর । আবার সেই সিনেমা দেশে প্রদর্শিত হচ্ছে কিনা তা নিয়াও তার মাথাব্যাথা নাই...।সব কিছুই কেমন জানি অস্পষ্ট। তবে যাই হোক ছবিটি মুক্তি পেলে বাংলাদেশের মুভি ইন্ডাষ্ট্রিতে ভিন্ন কিছু যোগ করবে মনে হয়...সাদিক আহমেদের মত সিনেমাটোগ্রাফাররা অন্তত মুভি ইন্ডাষ্ট্রিতে ভালো সিনেমাটোগ্রাফির প্রচলন শুরু করে দিক এটাই কাম্য।
উত্তরমুছুনআমি জানি না আপনাদের কারও “গ্রাম্য রাজনীতি”বা “ভিলেজ পলিটিক্স” এর ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা কেমন? আমি শহুরে ছেলে হলেও পিতার রাজনেতিক কর্মকান্ডের কারণেই অল্প-বিস্তর “গ্রাম্য রাজনীতি” আমার দেখা।
উত্তরমুছুনজনাব সাদিক আহমেদ কোথা থেকে এই চরিত্র গুলো খুঁজে পেয়েছন?সেটা আমার জনার বেশ ইচ্ছা কিন্তু অতি আশ্চর্যের বিষয় হল এর ক’য়েকটি চরিত্র আমি আমার বাস্তব জীবণে মুখোমুখি হয়েছি। বিশেষ করে চেয়ারম্যান আনোয়ার রহমান। মানুষ যে কত জটিল এবং মিশ্র চরিত্রে হতে পারে তার উদাহরণ এই চেয়ারম্যান। ১৯৭১ এর যুদ্ধের যুবক বয়সে তার কাম প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে ধর্ষন করা ইনিই আজকে গ্রামের প্রিয় । নিজের অনুতপ্তবোধ থেকেই ওয়ারিস কে জিজ্ঞেগ করে সে ভাল মানুষ কিনা?
উল্লেখ্য ১৯৭১ এর এক রাজাকার এর সাথে আমার সেই বাচ্চাকাল থেকেই পরিচয়, কিন্তু আমি জানতাম না!! অবশেষে, যখন যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে বিচার শুরু হল তখনই জানতে পারলাম তিনি একজন যুবক রাজাকার ছিলেন। অতি আশ্চর্যের বিষয় গ্রামের মানুষেরা একবারের জন্যও আমাকে বলে নি যে, তিনি রাজাকার ছিলেন। গ্রামের মানুষেদের সাথেও তার ব্যবহার ছিল অমায়িক।
আমার বাবা বলেন ১৯৭১ এর আগে গ্রামের বেশ হিন্দু বসবাস ছিল। যারা সাধারনদের বেশ যন্ত্রনাই দিত। কিন্তু, এখন মাত্র একটি হিন্দু বাড়ি অবশিষ্ট আছে।
দারাশিকো'র ব্লগে এই প্রথম মন্তব্য করলেন সাঁঝের মায়া? আপনাকে স্বাগতম জানাই :)
উত্তরমুছুনসাদিক আহমেদ সম্পর্কে দুধরনের কথাই শুনতে পাচ্ছি। কিং অব মিরপুর সিনেমার জন্য তিনি প্রযোজক পাচ্ছেন না তার কারণ এই লাস্ট ঠাকুর সিনেমা। এর সিনেমাটোগ্রাফি ভালো হলেও গল্প দুর্বল হওয়ায় হয়তো প্রযোজকরা ভরসা করতে পারছেন না।
সিনেমাটি মুক্তি পাওয়া দরকার। এটা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্যই ভালো হবে। আরও সিনেমা নির্মানে তিনি এগিয়ে আসুন সেই শুভকামনা রইল
আপনার মন্তব্যটা ভিন্ন কিছু যোগ করল বিপ্লব। ভিলেজ পলিটিক্সের সাথে যোগাযোগ নাই, তবে গল্প উপন্যাস সিনেমায় এই চরিত্রগুলো অনেকবার দেখা হয়েছে। সেদিক থেকে চেয়ারম্যানের চরিত্র চিত্রায়ন ঠিক আছে।
উত্তরমুছুনআপনার মন্তব্য থেকে আমার মনে একটি প্রশ্নের উদয় হল - একটি লোক ৭১ এ রাজাকার হওয়া সত্বেও কেন সেটা এক প্রকার অগোচরে থেকে গেল বলেন তো? তিনি কি খুব নিরীহ টাইপের রাজাকার ছিলেন? বর্তমান সময়ে রাজাকারদের যে চিত্রায়ন দেখি তাতে কোন রাজাকার 'নিরীহ' হতে পারে সেটা ভাবাই যায় না। আবার গ্রামের রাজাকার এত বছর পরেও গ্রামেই রয়ে গেল - অথচ সেখানে মুক্তিযোদ্ধারা বা আওয়ামী লীগের দস্যরা থাকার পরও কিছু হলো না ক্যান? আপনার যদি জানা থাকে জানাবেন প্লিজ ...
ধন্যবাদ বিপ্লব, ভালো থাকুন :)
প্রশ্নটা খুবই জটিল।
উত্তরমুছুনআমাদের দেশের মানুষেরা বেশ সহজ সরল ছিল, বেত্রাঘাতের তাকে দু’টাকার মলম কিনে দিলেই সে তা ভুলে যায়। ১৯৭৪ এর র্দূভিক্ষের কথা নিশ্চয়ই জানা আছে আপনার। সে সময়টা কিছু কিছু ৭১ এর ভিলেনকে নায়কে পরিণত করে।
আমি এক সময় ইতিহাসের ছাত্র ছিলাম, তাই আমি জানি কোন ইতিহাসই বিশুদ্ধ নয়। যে যখন ক্ষমতায় তিনি তখন তার পক্ষে ইতিহাস বানান। সত্যিই কার কি ভূমিকা ছিল তা এক সময় ধোঁয়াটে হয়ে যাবে।
অবশ্য তদন্তের পর আমাদের গ্রামের উনার বিরুদ্ধে কিছু ঘটনা বের হয়ে আসে। কেউ তাতে অবশ্য পাত্তা দেয় নি কারণ ঐ যে, ১৯৭১এর ভিলেনকে নায়কে পরিণত করে ১৯৭৪
mobarakdu92@gmail.com
উত্তরমুছুনভাই আমাকে যদি টেরেন্ট ফাইলটার লিংক পাঠিয়ে দিতেন!!!
আপনারা অনেকেই বলছেন কাহিনি অনেক দুর্বল, সাদিক আহমেদ কাহিনী এর চেয়ে সিনেমাটোগ্রাফিকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন।
উত্তরমুছুনমনে হতে পারে এখানে চরিত্র গুলোর পেছনের কাহিনি ছিল না, অতীতের কিছু গৌণ ঘটনা কে ধোঁয়াশা রাখা হয়েছে, পুরো সিনেমায় কি এবং ক্যানো? এই প্রশ্ন টা বহুবার এসেছে। যার কিছু উত্তর আমরা সিনেমা শেষে পেয়েছি, কিছুর উত্তর পাইনি।
আমার কিন্তু মনে হয়নি কাহিনী দুর্বল । আমার কাছে কাহিনী বেশ ভালো লেগেছে, এবং বেশ শক্ত পোক্তই মনে হয়েছে কাহিনি। আমার ধারনা সাদিক আহমেদ ইচ্ছে করেই কাহিনী ধোঁয়াশা রেখেছেন, এবং সেটা তিনি চমৎকার ভাবেই করেছেন, তিনি বোধয় চাননি তের ঘন্টার একটা ঘটনাকে উপস্থাপন করার জন্য অতীতের ঘটনা টেনে সিনেমা লম্বা করতে। তাহলে পুরো সিনেমা টায় হয়তো এতটা উত্তেজনা থাকতো না।
চরিত্রের অতীত বিবরণ না থাকায় বা 'ক্যারেক্টার ইস্টাব্লিশ্মেন্ট' না থাকায় বরং আমার বেশ ভালো লেগেছে, প্রতিটা চরিত্রকেই এক একজন ট্রাভিস (ট্যাক্সি ড্রাইভার এর মুল চরিত্র) মনে হয়েছে।
যা হোক সিনেমা টা বেশ উপভোগ্য এবং বেশ ভাল লেগেছে, এবং দেশীয় চলচিত্রের কারনে বেশ গর্ব বোধ ও হয়েছে।
বি দ্রঃ দারাশিকো ভাই ব্লগ আমি খুব বেশি পড়তাম না, ইদানিং পড়ছি, এবং আপনার এবং আরো দু চার জনের কারনে আমার রিভিউ লেখা বন্ধ হয়ে গেছে। :p আপনারা কয়েকজন এত চমৎকার রিভিউ লেখেন যে নিজেরটা নিজের পড়তে ইচ্ছা করে না। :p
সুস্বাগতম পিনাক পাণি।
উত্তরমুছুনক্ষমা চাই - কারণ আপনার লেখা বন্ধ করে দেয়ার কারকদের মধ্যে আমিও একজন। আমার ধারনা ছিল - আমরা নিয়মিত লিখলে আরও অনেকে লিখা শুরু করবে এবং আমাদের চেয়ে ভালো লেখক এবং সিনেমাবোদ্ধারা উঠে আসবে, পরিচিত হবে। এখন দেখছি উল্টোটা হচ্চে :( আবার শুরু করুন - লিখতে লিখতেই ছাড়িয়ে যাবেন দারাশিকো-কে - সে খুব ভালো লেখক নয় :)
সিনেমা সম্পর্কে আপনার বক্তব্য, চিন্তা ভাবনা ভালো লাগছে বেশ। এভাবেও দেখা সম্ভব :)
ভালো থাকুন পিনাক পাণি, আবার আসবেন দারাশিকো'র ব্লগে :)
আপনি বরং আরো তোড় জোড়ে লিখতে থাকুন, তা পড়েই বেশ আনন্দ পাই। :)
উত্তরমুছুননামানো ছিল। আজকে দেখে ডিলেট করে দিছি। সুন্দর কিন্তু গল্প সহজে বোধগম্য হোল না। যতই সিনেমাটোগ্রাফির কথা বলি না কেন, গল্প ছাড়া ছবি অচল। তারপরও দেখে খুব ভালো লাগছে। পরিচালককে অভিনন্দন। আর অবশ্যই দারাশিকোকে :)
উত্তরমুছুনপরিচালক ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু দারাশিকো কেন?
উত্তরমুছুনদারাশিকো'র ব্লগে সুস্বাগতম আসিফ রনি :) :)
কিপ কামিং :)