
রাশিয়ায় তৈরী ড্রাগোনভ রাইফেলের টেলিস্কোপে চোখ রেখে অপেক্ষা করছে সে। আরেকটু বাদেই এদিক দিয়ে যাবে টার্গেট। ম্যাগাজিনে দশটা লম্বা চোখা বুলেট। রিলোড করতে সময় লাগবে দুই সেকেন্ডের কম সময়। কিন্তু সুযোগ মাত্র একটাই। জায়গামত পৌছে দিতে হবে বুলেটটিকে। স্নায়ুর চাপ প্রচন্ড। কিন্তু সব কিছুকে উপেক্ষা করে সে অপেক্ষা করতে লাগল। সে একজন গুপ্তঘাতক।
যে কোন সিনেমায় বিশেষত: হলিউডের, এ ধরনের দৃশ্যে দর্শককেও টানটান উত্তেজনায় থাকতে হয় - এটাই নিয়ম। এই ধরনের সিনেমা পছন্দ না করলেও এ স্নায়ুচাপ এড়ানোর সুযোগ নেই। শুধু স্নাইপার নয়, অ্যাসাসিনস-হিটম্যানদের নিয়ে সিনেমাগুলো আমার বেশ পছন্দের। গেল জুন মাসে দ্য ডে অব দ্য জ্যাকল দেখার পর বেশ কিছু হিটম্যান সিনেমা দেখে ফেললাম - ইন্টারনেটে প্রাপ্ত তালিকার সেরাগুলো। সব হিটম্যান মুভি দারুন হয় না, তাই পছন্দের চারটি সিনেমা নিয়ে এই পোস্ট।
The Day of the Jackal, 1973

এই দ্য জ্যাকল এর হত্যাপ্রস্তুতি এবং তাকে ঠেকানোর জন্য সরকারী প্রচেষ্টা - এই নিয়েই সিনেমা - দ্য ডে অব দ্য জ্যাকল। ১৯৭৩ এ নির্মিত সিনেমা বলে হয়তো একটু পুরোনোই লাগবে সিনেমাটি, কিন্তু তাই বলে এর উত্তেজনা মোটেও পুরোনো হয় নি। পাক্কা ১৪০ মিনিটের এই সিনেমাটির গল্প নেয়া হয়েছে বিখ্যাত লেখক ফ্রেডেরিক ফোরসাইথের একই নামের উপন্যাস থেকে। উপন্যাসটিই দ্য জ্যাকল নামের একজন হিটম্যানকে বিখ্যাত করে তোলে। দেখা যায়, নানাভাবে হিটম্যানের সাথে দ্য জ্যাকল নামটি মিশে আছে।
JFK, 1991

১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ঝাড়া তিনঘন্টার এই দুর্দান্ত সিনেমাটার পরিচালক অলিভার স্টোন। তিনঘন্টার মধ্যে এই বিশাল কাহিনী এঁটে নেয়ার জন্য পরিচালনার যে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন - তা সিনেমাটিকে তার মাস্টারপিসে পরিণত করেছে নি:সন্দেহে। জিম গ্যারিসন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কেভিন কস্টনার।
In the Line of Fire, 1993

হুরিগান আর মিচ ল্যারির কার্যক্রম সমানতালে এগিয়ে চলে - একজন প্রস্তুতি নেয় হত্যা করার অন্যজন তা ঠেকানোর। দারুন উত্তেজনার এই সিনেমায় ক্লিন্ট ইস্টউডের তুলনায় মিচ ল্যারির ভূমিকায় জন মালকোভিচ বেশী ভালো অভিনয় করেছে - তার ঠান্ডা মাথার পরিকল্পনা আর খুনি মনোভাব শীহরন জাগায়।
তিনটি ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমি অ্যা্ওয়ার্ডস এর নমিনেশন পেলেও একটিও জিততে সক্ষম হয়নি এই সিনেমাটা - তাই বলে কিন্তু সিনেমার আবেদন একটু্ও কমেনি। রোটেন টম্যাটোস এর ভাষায় এই সিনেমার ৯৭ ভাগই 'ফ্রেশ'।
Assassins, 1995

সম্ভবত আমার সিনেমা দেখার কৈশোর-প্রেম এই সিনেমা। ২০০২-০৩ এ দেখেছিলাম। পছন্দের আরও একটি কারণ অ্যান্টোনিও বান্দেরাস এর অভিনয়। এই সিনেমায় সে ভিলেন, পাগলা কিসিমের কিন্তু অত্যন্ত দক্ষ গুপ্তঘাতক, স্নাইপার। নায়কের ভূমিকায় সিলভেস্টার স্ট্যালোন। সেও একজন গুপ্তঘাতক। দুই হিটম্যানের লড়াই - একজন জিতবে, অন্যজন হারবে।
বিশেষ কিছুই বলার মতো নেই এই সিনেমায় - অ্যান্টোনিও বান্দেরাসের অভিনয় ছাড়া - চমৎকার। পরিচালক রিচার্ড ডোনার ৮০'র দশকে লেথাল ওয়েপন নামক কিছু সফল সিনেমার পরিচালনা করেছিলেন।
9 মন্তব্যসমূহ
In the Line of Fire, Assassins,
উত্তরমুছুনei 2ta dekha ache....
sundor post....etake series akare likhte paren...guptohotta niye aro kcu cinema ache
দ্যা ডে অফ দি জ্যাকেল বইটা আছে আমার কাছে। কিন্তু এখনো পড়া হয় নি। :)
উত্তরমুছুনফ্রেডরিখ ফরসাইথের ওডেসা ফাইল আর ডগস অফ ওয়ার পরেছি। খারাপ লাগেনি। শুনেছি এটা তার সবচেয়ে বিখ্যাত বই।
অনেক বেশি বই+সিনেমা+এনিমেশন জমে গেছে। পরিমাণ দেখে এত ভয় লাগে যে শুরুই করতে পারছি না।
:)
হুম। গুড আইডিয়া - দেখা যাক পারি কিনা :)
উত্তরমুছুন:)
উত্তরমুছুনদেখুন -পড়ুন - শেয়ার করুন :)
শুভকামনা
সর্বশেষ দুইটি দেখা। দ্য এসাসিনস আমারও খুব প্রিয় ম্যুভি......তবে আন্তনিও বান্দেরাসের পাশা পাশি ঠান্ডা মাথার সিলভেস্টার স্ট্যালোনের নির্বিকার ঠান্ডা মাথায় অভিনয় আমার বেশ ভালোই লেগেছিল......
উত্তরমুছুনইন দ্য লাইন অফ ফায়ার স্পেশাল কিছু না মনে হলেও, উৎরে যায় আর কী!!
দ্বিতীয়টা এট্টু কঠিন সিনেমা, কিন্তু প্রথমটা মাস্ট সি। অ্যাসাসিন্স এখনো আমার অত্যন্ত পছন্দের সিনেমা।
উত্তরমুছুনইন দ্য লা্ইন অব ফায়ারে ক্লিন্ট ইস্টউডের তুলনায় খুনী জন মালকোভিচকে বস মনে হৈসে, তাই এইটা ভালো লাগে।
আফনার প্রোফাইল ফটুটা চমৎকার হৈসে :)
ইদানিং দেশে যেভাবে গুপ্তহত্যা হচ্ছে, তাতে আমাদের দেশের পরিচালকরাও ছবি বানাতে শুরু করবেন মনে হয়
উত্তরমুছুনভালোই হবে, কি বলেন?
উত্তরমুছুনকিছু কিছু শর্ট ফিল্ম তৈরী হয়েছে, হচ্ছে - নাটক, টেলিফিল্মও কিছু হয়েছে দেখছি। সিনেমায় শুরু হলে তো বেশ ভালোই লাগবে। শুরু হোক - জনরা ভিত্তিক সিনেমা চাই :)
কোনটাই এখনো দেখিনি :(
উত্তরমুছুনতবে দেখে ফেলবো শীঘ্রই .........